কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সরকারের ৭ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। দুপুরে একটা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক প্রায় এক ঘন্টা চলে।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত প্রমুখ।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কোটা আন্দোলনের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে সরকার। তবে নামে মাত্র কোটা থাকবে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীদের কোটা থাকবে আংশিক। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠক।
এদিকে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উচ্চ আদালত রায় দেবে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই সে পর্যন্ত রাস্তাঘাট আটকে আন্দোলন পরিহার করতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে রাজনীতির উপাদান যুক্ত হয়ে গেছে। কারণ বিএনপি ও সমমনস্করা এই কোটা আন্দোলনে ভর করে সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানে তাদের তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।
তিনি আরও বলেন, এখানে কারা কারা যুক্ত আছে? এখানে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা? সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের গতিধারায় বোঝা যাবে। আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলনে শরিক হয়? এটা কি বৈধ? আমাকে দেখান। এটা আদালতের রায় আমাদের না।