চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, গাজায় ‘পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানি’ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ‘একটি উন্মুক্ত কারাগারে’ বাস করছে। খবর আলজাজিরার।
ফু বলেন, গাজাকে ‘নয় মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে’ এবং ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ ক্রসিংটি ইসরাইলি সামরিক অভিযানের কারণে দুই মাসের জন্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।’
এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত মানবিক ডেলিভারির বিকল্প রুট হিসেবে নির্মিত একটি অস্থায়ী ঘাটের সমালোচনা করেছেন। তিনি পরোক্ষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উল্লেখ করে বলেছেন, জাতিসংঘ মিশনে বলা হয়েছিল ‘কিছু দেশ’ ঘাটটি তৈরি করেছিল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলের নজিরবিহীন এক হামলা চালায়। হামাসের যোদ্ধাদের আক্রমণে ১২০০ জন নিহত হয়; সেই সঙ্গে তারা ২৫৩ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরাইলের।
ওই দিন থেকেই গাজায় ব্যাপক ও ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। তারা হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করার প্রত্যয় জানায়। সবদিক থেকে গাজা অবরোধ করে ভূখণ্ডটির বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
তারপর থেকে গত প্রায় নয় মাস ধরে ইসরাইলির বাহিনীর স্থল, আকাশ ও নৌ হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার অধিকাংশ বাসিন্দার প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।
গাজায় আরও ১২ ফিলিস্তিনি নিহত, প্রাণহানি বেড়ে ৩৭৯২৫
বুধবার পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯২৫ জন বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ৯ মাস ধরে চলা অবিরাম হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৭ হাজার জনেরও বেশি।
জাতিসংঘ অনুমান করছে, আড়াই লাখের মতো ফিলিস্তিনি ইসরাইলের সামরিক আদেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে; যাতে লোকেরা দক্ষিণ শহর খান ইউনিসের কাছাকাছি এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কারণ গাজায় মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখে পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে।