কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের একমাত্র ছেলে কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব ৫ লাখ টাকাসহ নিখোঁজের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সাকিবের বাবা জানিয়েছেন, তার ছেলে একই এলাকার প্রেমিকাকে নিয়ে আত্মগোপন করে আছে বলে সংবাদ পেয়েছেন তিনি।
সাকিবের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার ছেলে সাকিব ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছে সে একই এলাকার ইসলামের মেয়েকে নিয়ে কোথাও রয়েছে। তিনি লোকেশন জানতে চাইলে দুই পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিলে তারা এলাকায় ফিরে আসবে বলে শর্ত দেয়; কিন্তু কোথায় আছে কোনোভাবে প্রকাশ করেনি। ৫ লাখ টাকা কোথায় এমন প্রশ্ন করলে সাকিব জানিয়েছে টাকা নষ্ট হয়নি নিরাপদে আছে। তিনি বিষয়টি কুমারখালী থানা ও কুষ্টিয়া ডিবিকে জানিয়েছেন বলে জানান।
সাদিয়ার বাবা ইসলাম জানান, দুমাস আগে সাকিব কোর্টের মাধ্যমে সাদিয়াকে বিয়ে করে। বিয়ের ১৯ দিন পর সাকিবের পরিবার সাদিয়াকে কোর্টে নিয়ে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু সাদিয়া কোনোভাবেই সাকিবকে ডিভোর্স দিতে রাজি হননি। পরবর্তীতে তিনি সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া কোর্টে গিয়ে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত ২৭ জুন সাদিয়া কুষ্টিয়া বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। ১১টার পর থেকে সাদিয়ার ফোন বন্ধ দেখায়। তারপর থেকে সাদিয়াকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সাকিব টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হবার পর তারও কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সাকিব ও সাদিয়া একসঙ্গে আত্মগোপন করে আছে বলে তিনি দাবি করেন।
কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, ছেলে এবং মেয়ে প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে কোথাও আত্মগোপন করে আছে। তাদের দুজনের ইতিপূর্বে বিয়ে হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।