বিয়ের গন্ধ শরীরে রয়েই গেছে, হাতের মেহেদীর রঙের উজ্জ্বলতা কমেনি। এর মধ্যেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বিয়ের ৭ দিনের মধ্যেই অভিমানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন মিতু (১৮) নামের এক তরুণী। পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় তার অভিমান ছিল বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দিগরবাইদ গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মিতু বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নানার বাড়িতে ফাঁস দেন।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের পর গত ২০ জুন টিকরী গ্রামের আঞ্জু খার ছেলে পিয়াসের সঙ্গে মিতুর বিয়ে হয়। বিয়েতে মিতুর মত ছিল না। বিয়ের ৬ দিন পর বুধবার রাতে স্বামী ও বাবার সঙ্গে মিতু পাশের ইউনিয়ন কুড়ালিয়ার টিকরি গ্রামের নানা বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে বাবা মান্নান বাড়ি চলে গেলে স্বামী পিয়াস ও মিতু থেকে যান।
সকালে পিয়াস পাশের চাপড়ীবাজারে গেলে মিতু ঘরের দরজা আটকিয়ে কাপড় দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফাঁস দেন। ডাকাডাকি করে অনেক সময় তার সাড়া না পেয়ে স্বজনরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে মিতুকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন।
দিগরবাইদ গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে অভিভাবকরা মিতুকে বিয়ে দেন। শোনা যাচ্ছে মিতুর সঙ্গে ঢাকার এক ছেলের প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল। মিতুর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে- এমন খবর শোনে মিতু নাকি ফাঁসি দিয়েছে।
খবরটি কতটুকু সত্যি জানতে চাইলে আনোয়ার জানান, নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।
আলোকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান সিদ্দিক জানান, বিয়ের ৭ দিন পর মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। শোনা যাচ্ছে মেয়েটির অন্য কোথাও প্রেম ছিল।
আলোকদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আজাহার আলী নববধূ মিতুর আত্মহত্যার খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মেয়েটির আত্মহত্যার কারণ হিসেবে শোনা যাচ্ছে প্রেমঘটিত। লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।