অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদপুরে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৮৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩২টাকা ৩৫ পয়সা জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় মো. মোস্তফা কামাল খান ও তাঁর স্ত্রী হাওয়ানুর আক্তারের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।
গতকাল সোমবার রাতে দুদক চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয় থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে রোববার দুদকের চাঁদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক সঞ্জয় ঘোষাল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদক থেকে পাসপোর্টের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মোস্তফা কামাল খান ও তাঁর স্ত্রী হাওয়ানুর আক্তারের কাছে সম্পদ বিবরণী জানতে চাওয়া হয়। সম্পদ বিবরণী পূরণ করে তা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তারিখে নিজ স্বাক্ষরে স্বামী ও স্ত্রী জমা দেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের মো. মোস্তফা কামাল খান দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩ লাখ, ৮৫ হাজার ৪৯৩টাকা ৩৫ পয়সা সম্পদের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। এ ছাড়া ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৭১ টাকা ৩৫ পয়সা জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুদক আইনে অপরাধ করেছেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, মো. মোস্তফা কামাল খান ও তাঁর স্ত্রী হাওয়ানুর আক্তার পরস্পর যোগসাজশে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৮০২টাকা ৯১ পয়সা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৩৬১ টাকার জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মোস্তফা কামাল খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০১২ অর্থ বছরের সম্পদের বিবরণ চাওয়া হয়। তখন আমি তা দাখিল করি। ওই সময় আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন আবার পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুদক তাদের মতো করে মামলা করেছে। আমি আমার মতো করে জবাব দিব। আমি দুদকের এ ধরনের খামখেয়ালি মামলার বিরুদ্ধে আইনিভাবে লড়াই করব।’