ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

স্ত্রী কি স্বামীকে দেনমোহর গিফট করতে পারবে?

যদি এখন পর্যন্ত দেনমোহর পরিশোধ করার সামর্থ্য না থাকে, আর সেই পরিস্থিতিতে স্ত্রী সামান্য কিছু পেয়ে কাবিন নামায় দেওয়া মোহরানা মাফ অথবা গিফট করে দেয় তাহলে সেটা সঠিক হবে কিনা?

উত্তর: প্রথমত, ইসলামী শরিয়তে দেনমোহর একমাত্র স্ত্রীর হক। সে তার অমূল্য সম্পদ-সতীত্ব দান করার মাধ্যমে এর মালিকানা লাভ করেছে।

অপরদিকে এই সম্পদ গ্রহনকারীকে এই অবকাশও দেওয়া হয়েছে, সে যেন তার সাধ্যের মধ্য দিয়ে এটাকে গ্রহন করে। এখানে লৌকিকতার আশ্রয় নেওয়া প্রতারণার নামান্তর। কাজেই যতটুকু মহর পরিশোধের সামর্থ্য থাকবে ততটুকু নির্ধারণ করেই বিবাহ করবে।

বিবাহের আকদের সময় মহরের যে পরিমান নির্ধারিত হয় নির্জনবাসের আগেই সেই পরিমান মহর আদায় করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব। সেখানে হ্রাস করার কোনো সুযোগ নেই।

তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায়, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, সন্তুষ্টচিত্তে, কোনোপ্রকার শারীরিক-মানসিক চাপ ব্যতীত নিজের মহরের কিছু অংশ বা সম্পূর্ণ মহর মাফ করে দেয় তাহলেই কেবল সেখানে হ্রাস করার সুযোগ আছে। এমনিভাবে যদি আলোচনা সাপেক্ষে স্ত্রী তার মহর বাকী রাখতে সম্মত হয় তাহলেও এর অবকাশ আছে।

মনে রাখতে হবে, স্ত্রীর কাছে দেনমোহর হচ্ছে স্বামীর ঋণ। স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় বা স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দেয় বা স্বামীর যদি মৃত্যু ঘটে তবে অবশ্যই দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। দেনমোহর পরিশোধ করা ইসলামে বাধ্যতামূলক। দেনমোহর পরিশোধ না করলে শেষ বিচারের দিন আল্লাহর কাছে জাবাবদিহি করতে হবে।

আবু দাউদ শরিফে বিবাহ অধ্যায়ে দেনমোহর সম্পর্কে ৩৮০৮নং হাদিসে বিস্তারিত বলা হয়েছে। স্ত্রীর মোহর ফাঁকি দেওয়া অতিহীন কাজ। হাদিসে তাকে বলা হয়েছে ‘ব্যভিচারী’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

স্ত্রী কি স্বামীকে দেনমোহর গিফট করতে পারবে?

আপডেট সময় ১২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

যদি এখন পর্যন্ত দেনমোহর পরিশোধ করার সামর্থ্য না থাকে, আর সেই পরিস্থিতিতে স্ত্রী সামান্য কিছু পেয়ে কাবিন নামায় দেওয়া মোহরানা মাফ অথবা গিফট করে দেয় তাহলে সেটা সঠিক হবে কিনা?

উত্তর: প্রথমত, ইসলামী শরিয়তে দেনমোহর একমাত্র স্ত্রীর হক। সে তার অমূল্য সম্পদ-সতীত্ব দান করার মাধ্যমে এর মালিকানা লাভ করেছে।

অপরদিকে এই সম্পদ গ্রহনকারীকে এই অবকাশও দেওয়া হয়েছে, সে যেন তার সাধ্যের মধ্য দিয়ে এটাকে গ্রহন করে। এখানে লৌকিকতার আশ্রয় নেওয়া প্রতারণার নামান্তর। কাজেই যতটুকু মহর পরিশোধের সামর্থ্য থাকবে ততটুকু নির্ধারণ করেই বিবাহ করবে।

বিবাহের আকদের সময় মহরের যে পরিমান নির্ধারিত হয় নির্জনবাসের আগেই সেই পরিমান মহর আদায় করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব। সেখানে হ্রাস করার কোনো সুযোগ নেই।

তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায়, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, সন্তুষ্টচিত্তে, কোনোপ্রকার শারীরিক-মানসিক চাপ ব্যতীত নিজের মহরের কিছু অংশ বা সম্পূর্ণ মহর মাফ করে দেয় তাহলেই কেবল সেখানে হ্রাস করার সুযোগ আছে। এমনিভাবে যদি আলোচনা সাপেক্ষে স্ত্রী তার মহর বাকী রাখতে সম্মত হয় তাহলেও এর অবকাশ আছে।

মনে রাখতে হবে, স্ত্রীর কাছে দেনমোহর হচ্ছে স্বামীর ঋণ। স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় বা স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দেয় বা স্বামীর যদি মৃত্যু ঘটে তবে অবশ্যই দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। দেনমোহর পরিশোধ করা ইসলামে বাধ্যতামূলক। দেনমোহর পরিশোধ না করলে শেষ বিচারের দিন আল্লাহর কাছে জাবাবদিহি করতে হবে।

আবু দাউদ শরিফে বিবাহ অধ্যায়ে দেনমোহর সম্পর্কে ৩৮০৮নং হাদিসে বিস্তারিত বলা হয়েছে। স্ত্রীর মোহর ফাঁকি দেওয়া অতিহীন কাজ। হাদিসে তাকে বলা হয়েছে ‘ব্যভিচারী’