ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

যেসব সুবিধা পান ভারতের লোকসভার এমপিরা

তৃতীয়বারের মতো রোববার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে তার দল বিজেপি পেয়েছে ২৪০ আসন। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯ আসন। তবে ২৯৩ আসনে এগিয়ে থাকায় মোদির এনডিএ জোট সরকার গঠনের ডাক দিয়েছে।

লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এ নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে। মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রাহুলকেই যোগ্য মনে করছেন পার্টির সদস্যরা। তবে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি ভেবে জানাবেন।

শনিবার শপথ হওয়ার কথা থাকলেও অদৃশ্য কারণে তা একদিন পিছিয়ে রোববার সন্ধ্যা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মিত্রদের সঙ্গে দর কষাকষির জন্য এই সময়ক্ষেপণ হয়েছে। সে যা-ই হোক। নির্বাচিত এমপিরা কত বেতন পান এবং আনুষঙ্গিক আর কী কী ভাতা পান, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত একজন এমপি বেসিক হিসেবে এক লাখ রুপি পান। ২০১৮ সালে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবন ধারনের খরচ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি আসনের জন্য একজন এমপি পান ৭০ হাজার রুপি। এই খরচ দিয়ে তিনি এলাকায় অফিস এবং অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করেন।

অফিস খরচ হিসেবে মাসে ৬০ হাজার রুপি পান একজন এমপি। এর মধ্যে আছে স্টেশনারি, টেলিযোগাযোগ স্টাফ বেতন ইত্যাদি। পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালে এবং কমিটির মিটিংয়ের সময় একজন এমপি প্রতিদিন দুই হাজার রুপি এলাউন্স হিসেবে পান। অবস্থান, খাদ্য ও অন্য খরচ বাবদ এই অর্থ দেওয়া হয়। একজন এমপি প্রতি বছর নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দেশের ভিতর বিনা ভাড়ায় ৩৪টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সফর করতে পারেন।

সরকারি কাজ ও ব্যক্তিগত সফরের জন্য তারা ট্রেনে বিনামূল্যে ফার্স্ট ক্লাস সফরের সুযোগ পান। নিজের সংসদীয় এলাকার ভিতরে সফর করার জন্য তারা মাইলেজ হিসেবে এলাউন্স পান। ক্ষমতায় থাকা ৫ বছর সময়ের জন্য তাদেরকে উন্নত এলাকায় বিনামূল্যে আবাসন সুবিধা দেয়া হয়। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে তারা বাংলো, ফ্লাট বা হোস্টেল রুম পান। যারা এসব সুবিধা নেবেন না তারা গৃহায়ণ বাবদ মাসে দুই লাখ রুপি দাবি করতে পারেন। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিমের অধীনে তারা এবং পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারেন। এর আওতায় থাকা বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি হাসপাতালে তারা এ সুবিধা নিতে পারেন। পার্লামেন্টের সাবেক একজন এমপি প্রতি মাসে পেনশন হিসেবে পান ২৫ হাজার রুপি।

অতিরিক্ত সময় দায়িত্বে থাকলে মাসে দুই হাজার রুপি করে ইনক্রিমেন্ট পান। বছরে একজন এমপি বিনামূল্যে এক লাখ ৫০ হাজার টেলিফোন কল করতে পারেন। অফিস এবং বাসায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ পান বিনামূল্যে। ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুত এবং চার হাজার কিলোলিটার পানি বছরে দেওয়া হয় বিনামূল্যে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠন

যেসব সুবিধা পান ভারতের লোকসভার এমপিরা

আপডেট সময় ১২:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

তৃতীয়বারের মতো রোববার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে তার দল বিজেপি পেয়েছে ২৪০ আসন। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯ আসন। তবে ২৯৩ আসনে এগিয়ে থাকায় মোদির এনডিএ জোট সরকার গঠনের ডাক দিয়েছে।

লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এ নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে। মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রাহুলকেই যোগ্য মনে করছেন পার্টির সদস্যরা। তবে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি ভেবে জানাবেন।

শনিবার শপথ হওয়ার কথা থাকলেও অদৃশ্য কারণে তা একদিন পিছিয়ে রোববার সন্ধ্যা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মিত্রদের সঙ্গে দর কষাকষির জন্য এই সময়ক্ষেপণ হয়েছে। সে যা-ই হোক। নির্বাচিত এমপিরা কত বেতন পান এবং আনুষঙ্গিক আর কী কী ভাতা পান, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত একজন এমপি বেসিক হিসেবে এক লাখ রুপি পান। ২০১৮ সালে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবন ধারনের খরচ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি আসনের জন্য একজন এমপি পান ৭০ হাজার রুপি। এই খরচ দিয়ে তিনি এলাকায় অফিস এবং অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করেন।

অফিস খরচ হিসেবে মাসে ৬০ হাজার রুপি পান একজন এমপি। এর মধ্যে আছে স্টেশনারি, টেলিযোগাযোগ স্টাফ বেতন ইত্যাদি। পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালে এবং কমিটির মিটিংয়ের সময় একজন এমপি প্রতিদিন দুই হাজার রুপি এলাউন্স হিসেবে পান। অবস্থান, খাদ্য ও অন্য খরচ বাবদ এই অর্থ দেওয়া হয়। একজন এমপি প্রতি বছর নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দেশের ভিতর বিনা ভাড়ায় ৩৪টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সফর করতে পারেন।

সরকারি কাজ ও ব্যক্তিগত সফরের জন্য তারা ট্রেনে বিনামূল্যে ফার্স্ট ক্লাস সফরের সুযোগ পান। নিজের সংসদীয় এলাকার ভিতরে সফর করার জন্য তারা মাইলেজ হিসেবে এলাউন্স পান। ক্ষমতায় থাকা ৫ বছর সময়ের জন্য তাদেরকে উন্নত এলাকায় বিনামূল্যে আবাসন সুবিধা দেয়া হয়। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে তারা বাংলো, ফ্লাট বা হোস্টেল রুম পান। যারা এসব সুবিধা নেবেন না তারা গৃহায়ণ বাবদ মাসে দুই লাখ রুপি দাবি করতে পারেন। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিমের অধীনে তারা এবং পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারেন। এর আওতায় থাকা বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি হাসপাতালে তারা এ সুবিধা নিতে পারেন। পার্লামেন্টের সাবেক একজন এমপি প্রতি মাসে পেনশন হিসেবে পান ২৫ হাজার রুপি।

অতিরিক্ত সময় দায়িত্বে থাকলে মাসে দুই হাজার রুপি করে ইনক্রিমেন্ট পান। বছরে একজন এমপি বিনামূল্যে এক লাখ ৫০ হাজার টেলিফোন কল করতে পারেন। অফিস এবং বাসায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ পান বিনামূল্যে। ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুত এবং চার হাজার কিলোলিটার পানি বছরে দেওয়া হয় বিনামূল্যে।