ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রংপুরের চাঞ্চল্যকর সিয়াম হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩ সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমে সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রংপুরে মটর শ্রমিক ইউনিয়ন-এর কার্যকরী পরিষদ কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে মানববন্ধন সংখ্যালঘুদের ৮ দফা দাবীতে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নতুন কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত ভোলা বোরহানউদ্দিনে বসত ঘরে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন পটুয়াখালীর নির্বাচন সম্পন্ন; সভাপতি এনায়েতুর, সম্পাদক শামীম মৃধা ৭ নভেম্বর সরকারি ছুটি পুর্নবহাল করতে হবে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আওয়ামীলীগ প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে বাচ্চাদেরকে পড়িয়েছে কুমিল্লা সেনানিবাসে ১ম রানার কাপ গল্ফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ঘুস গ্রহণের অভিযোগে প্রকৌশলীর কারাদণ্ড

ঘুস গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় নৌ-পরিবহণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী (বর্তমানে বরখাস্ত) মির্জা সাইফুর রহমানকে দুই ধারায় ৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলায় তাকে দুই ২ কারাভোগ করতে হবে।

সাজাপ্রাপ্ত সাইফুর রহমান সদরঘাটের ঢাকা নদী বন্দরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ারের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার নাকোল গ্রামের মির্জা আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত আসামি মির্জা সাইফুর রহমানকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০১৯ সালের আগস্টে এমএস শিপিং লাইন্স নামক একটি জাহাজ মেরামত ও পরিদর্শনের জন্য সরকারিভাবে অনলাইনে বিআইডব্লিউটিএর ওয়েবসাইটে আবেদন করেন জাহাজের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান। এ কাজের জন্য দুই লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন মির্জা সাইফুর রহমান। মনিরুজ্জামান ঘুস দিতে যাওয়ার আগে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করেন। এরপর অফিসে বসে ঘুস গ্রহণকালে ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাইফুরকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ঘুসের দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরের চাঞ্চল্যকর সিয়াম হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩

ঘুস গ্রহণের অভিযোগে প্রকৌশলীর কারাদণ্ড

আপডেট সময় ১০:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

ঘুস গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় নৌ-পরিবহণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী (বর্তমানে বরখাস্ত) মির্জা সাইফুর রহমানকে দুই ধারায় ৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলায় তাকে দুই ২ কারাভোগ করতে হবে।

সাজাপ্রাপ্ত সাইফুর রহমান সদরঘাটের ঢাকা নদী বন্দরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ারের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার নাকোল গ্রামের মির্জা আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত আসামি মির্জা সাইফুর রহমানকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০১৯ সালের আগস্টে এমএস শিপিং লাইন্স নামক একটি জাহাজ মেরামত ও পরিদর্শনের জন্য সরকারিভাবে অনলাইনে বিআইডব্লিউটিএর ওয়েবসাইটে আবেদন করেন জাহাজের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান। এ কাজের জন্য দুই লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন মির্জা সাইফুর রহমান। মনিরুজ্জামান ঘুস দিতে যাওয়ার আগে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করেন। এরপর অফিসে বসে ঘুস গ্রহণকালে ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাইফুরকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ঘুসের দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়।