ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের নবীন বরণ ও বিতর্ক আলাপন অনুষ্ঠিত জামালপুর বিজয়ের উল্লাসে, তারুণ্যের উচ্ছাসে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বললেন আসিফ নজরুল ময়নামতিতে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিকের উপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগ কখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ছিল না: যুবদল সাধারণ সম্পাদক নয়ন শিবচরে সাংবাদিকের বসত বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর শীতকালীন জাতীয় ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লার তিন উপজেলায় একদিনে ৩ জনের লাশ উদ্ধার বোরহানউদ্দিনে মাটি কেটে ইট ভাটায় পরিবহনের দায়ে জরিমানা মিঠাপুকুরে এমপিএইচডিও সংস্থার উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ

‘এইচএসসি’ পাশ গালিব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তবে প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ হলেও টপকাতে পারেননি দ্বিতীয় বর্ষ। ড্রপ আউট হয়ে ছাত্রত্ব হারান তিনি।

এরপর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রির ‘ভুয়া সনদ’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সে ভর্তির আবেদন করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি থাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।

অর্থাৎ তিনি স্নাতক পাশ করতে পারেননি, আবার সান্ধ্যর মাস্টার্স কোর্সেও ‘ভুয়া সনদ’র জন্য ভর্তি বাতিল হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, আসাদুল্লা-হিল-গালিব কি তাহলে ইন্টারমিডিয়েট (এইচএসসি) পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন?

মঙ্গলবার দুপুরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলন হওয়ার আগ থেকে তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সের ছাত্র বলে দাবি করতেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদ’ দেখিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। এরপর বিভাগের ভুয়া ছাত্রত্বের পরিচয় দিয়ে বাগিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ।

বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জুলাই ২০২১ সেশনের ছাত্র হিসেবে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। তবে তার জমাকৃত অনার্সের সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিষয়টি যাচাইপূর্বক ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জরুরি সভায় ভর্তি বাতিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে এ মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদে’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন; যা আংশিক ও অসম্পূর্ণ তথ্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল গণমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পাই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে আমাদের বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থী বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু তার অনার্সের সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি থাকার কারণে তাকে বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি সবাইকে জানাতে এ বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের নবীন বরণ ও বিতর্ক আলাপন অনুষ্ঠিত

‘এইচএসসি’ পাশ গালিব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে!

আপডেট সময় ১২:১৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তবে প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ হলেও টপকাতে পারেননি দ্বিতীয় বর্ষ। ড্রপ আউট হয়ে ছাত্রত্ব হারান তিনি।

এরপর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রির ‘ভুয়া সনদ’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সে ভর্তির আবেদন করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি থাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।

অর্থাৎ তিনি স্নাতক পাশ করতে পারেননি, আবার সান্ধ্যর মাস্টার্স কোর্সেও ‘ভুয়া সনদ’র জন্য ভর্তি বাতিল হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, আসাদুল্লা-হিল-গালিব কি তাহলে ইন্টারমিডিয়েট (এইচএসসি) পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন?

মঙ্গলবার দুপুরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলন হওয়ার আগ থেকে তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সের ছাত্র বলে দাবি করতেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদ’ দেখিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। এরপর বিভাগের ভুয়া ছাত্রত্বের পরিচয় দিয়ে বাগিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ।

বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জুলাই ২০২১ সেশনের ছাত্র হিসেবে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। তবে তার জমাকৃত অনার্সের সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিষয়টি যাচাইপূর্বক ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জরুরি সভায় ভর্তি বাতিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে এ মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদে’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন; যা আংশিক ও অসম্পূর্ণ তথ্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল গণমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পাই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে আমাদের বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থী বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু তার অনার্সের সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি থাকার কারণে তাকে বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি সবাইকে জানাতে এ বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।