ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নাটোরের অনার্স শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির দাবিতে ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদান ঈশ্বরদীতে উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বাকেরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ উত্তোলন বোরহানউদ্দিনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত গোপন তদন্তের মুখে আ.লীগ আমলের পুলিশ কর্মকর্তারা ক্যাডেট এসআইরাও তদন্তের আওতায় সিলেটে দেড় থেকে ২ কোটি ব্যারেল তেল পাওয়ার সম্ভাবনা রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না: রিজওয়ানা হাসান জামায়াত কর্মীদের সৎ, যোগ্য এবং সমাজ পরিচালনার জন্য দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলতে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন রাজবাড়ীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও খাবার বিতরণ

চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি, কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা স্বামীর

চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি করায় কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাক রাজাইকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি রুবেল মিয়া ও সহযোগী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলার পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে হত্যা করেছে বলে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আব্দুর সেলিমের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার আনিসের ছেলে সোহেল রানা (২০)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান জানান, ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক (৫০) কবিরাজি করে মানুষের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রদান করতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী শারীরিক চিকিৎসার জন্য ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হলে গত ৩১ মে সন্ধ্যায় আব্দুর রাজ্জাক জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে আসামি রুবেল ও তার স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজ এলাকায় পান বরজের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং আসামিকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পরে আসামি রুবেল পান বরজের এসে কবিরাজ রাজ্জাক ও তার স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে আসামীর স্ত্রীর মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পায়।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আনুমানিক ৩৫-৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও আসামির স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে এসে তার স্ত্রীকে দেখে খারাপ কোনো কাজ করেছে বলে সন্দেহ পোষণ করে। পরবর্তীতে আসামি বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্ত্রী কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্বীকার করে আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ চিকিৎসা দেওয়ার নামে সম্ভ্রমহানি করেছে।

ওই রাতেই আসামি রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে কৌশলে ডেকে মোটরসাইকেলে তুলে ধারাল ছুরি দিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের গলায় পোঁচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই পুলিশের বিভিন্ন টিম মাঠে মাঠে এবং হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘাতকদের গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, গত ১ জুন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশে মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই আসামি গ্রেফতারসহ তদন্তে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরের অনার্স শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির দাবিতে ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদান

চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি, কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা স্বামীর

আপডেট সময় ১১:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি করায় কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাক রাজাইকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি রুবেল মিয়া ও সহযোগী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলার পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে হত্যা করেছে বলে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আব্দুর সেলিমের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার আনিসের ছেলে সোহেল রানা (২০)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান জানান, ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক (৫০) কবিরাজি করে মানুষের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রদান করতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী শারীরিক চিকিৎসার জন্য ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হলে গত ৩১ মে সন্ধ্যায় আব্দুর রাজ্জাক জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে আসামি রুবেল ও তার স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজ এলাকায় পান বরজের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং আসামিকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পরে আসামি রুবেল পান বরজের এসে কবিরাজ রাজ্জাক ও তার স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে আসামীর স্ত্রীর মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পায়।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আনুমানিক ৩৫-৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও আসামির স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে এসে তার স্ত্রীকে দেখে খারাপ কোনো কাজ করেছে বলে সন্দেহ পোষণ করে। পরবর্তীতে আসামি বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্ত্রী কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্বীকার করে আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ চিকিৎসা দেওয়ার নামে সম্ভ্রমহানি করেছে।

ওই রাতেই আসামি রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে কৌশলে ডেকে মোটরসাইকেলে তুলে ধারাল ছুরি দিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের গলায় পোঁচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই পুলিশের বিভিন্ন টিম মাঠে মাঠে এবং হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘাতকদের গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, গত ১ জুন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশে মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই আসামি গ্রেফতারসহ তদন্তে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।