ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের নবীন বরণ ও বিতর্ক আলাপন অনুষ্ঠিত জামালপুর বিজয়ের উল্লাসে, তারুণ্যের উচ্ছাসে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বললেন আসিফ নজরুল ময়নামতিতে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিকের উপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগ কখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ছিল না: যুবদল সাধারণ সম্পাদক নয়ন শিবচরে সাংবাদিকের বসত বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর শীতকালীন জাতীয় ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লার তিন উপজেলায় একদিনে ৩ জনের লাশ উদ্ধার বোরহানউদ্দিনে মাটি কেটে ইট ভাটায় পরিবহনের দায়ে জরিমানা মিঠাপুকুরে এমপিএইচডিও সংস্থার উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ

চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি, কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা স্বামীর

চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি করায় কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাক রাজাইকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি রুবেল মিয়া ও সহযোগী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলার পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে হত্যা করেছে বলে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আব্দুর সেলিমের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার আনিসের ছেলে সোহেল রানা (২০)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান জানান, ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক (৫০) কবিরাজি করে মানুষের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রদান করতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী শারীরিক চিকিৎসার জন্য ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হলে গত ৩১ মে সন্ধ্যায় আব্দুর রাজ্জাক জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে আসামি রুবেল ও তার স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজ এলাকায় পান বরজের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং আসামিকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পরে আসামি রুবেল পান বরজের এসে কবিরাজ রাজ্জাক ও তার স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে আসামীর স্ত্রীর মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পায়।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আনুমানিক ৩৫-৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও আসামির স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে এসে তার স্ত্রীকে দেখে খারাপ কোনো কাজ করেছে বলে সন্দেহ পোষণ করে। পরবর্তীতে আসামি বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্ত্রী কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্বীকার করে আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ চিকিৎসা দেওয়ার নামে সম্ভ্রমহানি করেছে।

ওই রাতেই আসামি রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে কৌশলে ডেকে মোটরসাইকেলে তুলে ধারাল ছুরি দিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের গলায় পোঁচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই পুলিশের বিভিন্ন টিম মাঠে মাঠে এবং হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘাতকদের গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, গত ১ জুন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশে মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই আসামি গ্রেফতারসহ তদন্তে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের নবীন বরণ ও বিতর্ক আলাপন অনুষ্ঠিত

চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি, কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা স্বামীর

আপডেট সময় ১১:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি করায় কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাক রাজাইকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি রুবেল মিয়া ও সহযোগী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলার পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে হত্যা করেছে বলে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আব্দুর সেলিমের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার আনিসের ছেলে সোহেল রানা (২০)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান জানান, ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক (৫০) কবিরাজি করে মানুষের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রদান করতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী শারীরিক চিকিৎসার জন্য ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হলে গত ৩১ মে সন্ধ্যায় আব্দুর রাজ্জাক জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে আসামি রুবেল ও তার স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজ এলাকায় পান বরজের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং আসামিকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পরে আসামি রুবেল পান বরজের এসে কবিরাজ রাজ্জাক ও তার স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে আসামীর স্ত্রীর মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পায়।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আনুমানিক ৩৫-৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও আসামির স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে এসে তার স্ত্রীকে দেখে খারাপ কোনো কাজ করেছে বলে সন্দেহ পোষণ করে। পরবর্তীতে আসামি বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্ত্রী কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্বীকার করে আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ চিকিৎসা দেওয়ার নামে সম্ভ্রমহানি করেছে।

ওই রাতেই আসামি রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে কৌশলে ডেকে মোটরসাইকেলে তুলে ধারাল ছুরি দিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের গলায় পোঁচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই পুলিশের বিভিন্ন টিম মাঠে মাঠে এবং হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘাতকদের গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, গত ১ জুন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশে মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই আসামি গ্রেফতারসহ তদন্তে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।