ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাজাখস্তানে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ভিডিও চট্টগ্রাম বন্দরের টেন্ডারবিহীন চুক্তি বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন বড়দিন উপলক্ষে জোনাইল পারর্বণী মিশন পরিদর্শন করেন। কর্মঘণ্টা বাড়তে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা খামচে ধরেছে, সেই পুরনো শকুন জামায়াত-শিবির, রংপুরে অধ্যক্ষ চুনারুঘাটে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব জিন্নাতুন নেছা দারুন জান্নাত মহিলা ক্বাওমি মাদ্রাসায় হিফজের ছবক প্রদান অনুষ্ঠান। গোয়াইনঘাটে ইউএনও’র উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষায় দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে প্রকৃতির দৃশ্য সি আই পি মর্যাদা পেলেন প্রবাসী রেমিট্যান্স যুদ্ধা মোঃ আনসারুল হক (আনসার) যুগপৎ আন্দোলনের ইঙ্গিত বিএনপির

রাজীব গান্ধীর ছয় ঘাতককে মুক্তি দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরন ও অন্য পাঁচ আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই আসামিদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানিয়েছে। এর আগে, গত মে মাসে এই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরেক আসামি এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নলিনী ছাড়াও অন্য যে আসামিরা মুক্তি পেয়েছেন তারা হলেন, নলিনী শ্রীহরন, সান্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রন। ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেছেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।

মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় আসামি— নলিনী শ্রীহরন, রবিচন্দ্রন, সান্থান, মুরুগান, এ জি পেরারিভালান ও রবার্ট পায়াসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং তারা ২৩ বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন।

শ্রীহরন এবং রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২’র আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন তারা।

১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন।

১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান এবং শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ২০১৪ সালে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান এবং মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আর ২০০১ সালে কিশোরী মেয়ের লালন-পালনের কথা বিবেচনা করে অপর অভিযুক্ত শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দেশটির শীর্ষ এই আদালত।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগাররা রাজীব গান্ধীকে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কাজাখস্তানে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ভিডিও

রাজীব গান্ধীর ছয় ঘাতককে মুক্তি দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট সময় ০৩:২৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরন ও অন্য পাঁচ আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই আসামিদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানিয়েছে। এর আগে, গত মে মাসে এই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরেক আসামি এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নলিনী ছাড়াও অন্য যে আসামিরা মুক্তি পেয়েছেন তারা হলেন, নলিনী শ্রীহরন, সান্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রন। ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেছেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।

মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় আসামি— নলিনী শ্রীহরন, রবিচন্দ্রন, সান্থান, মুরুগান, এ জি পেরারিভালান ও রবার্ট পায়াসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং তারা ২৩ বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন।

শ্রীহরন এবং রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২’র আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন তারা।

১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন।

১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান এবং শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ২০১৪ সালে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান এবং মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আর ২০০১ সালে কিশোরী মেয়ের লালন-পালনের কথা বিবেচনা করে অপর অভিযুক্ত শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দেশটির শীর্ষ এই আদালত।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগাররা রাজীব গান্ধীকে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে।