ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

বিয়ের আগে সহবাসের পরামর্শ ভারতীয় অভিনেত্রীর?

হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন সোমি আলি ও জিনাত আমান। ছবি-সংগ্রহীত
নব্বইয়ের দশকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন সোমি আলি। সম্পর্কে ছিলেন বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গেও। যদিও বর্তমানে তিনি কাজ করছেন নারী স্বাধীনতা নিয়ে। গার্হস্থ্য হিংসা ও মানব পাচারের মুখে পড়ে যে নারীরা, তাদের একটি সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিতে কাজ করে চলেছেন বর্তমানে। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে তিনি লিভ-ইন নিয়ে জিনাত আমানের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

জিনাতের ভাইরাল হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের হয়ে গলা মেলালেন সোমি আলি। তিনি বলেন, ‘আমি যখন মাউন্ট মেরির বিদ্যাচলে থাকতাম, তখন জিনাত এবং মাজহার ভাই (জিনাতের প্রয়াত স্বামী) আমার প্রতিবেশী ছিলেন। জ্যাকি শ্রফ এবং আয়েশাও (শ্রফ) কাছাকাছি থাকতেন। আমরা যখনই শুটিংয়ে যেতাম, তখনই দেখা হত। সম্প্রতি অনেকেই তার নিন্দা করেছেন। আমাদের জনসংখ্যা বর্তমানে ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছে। আমি মোটেও লিভ-ইন সম্পর্কের বিরোধী নই। জিনাতের বক্তব্যকে ১০০ শতাংশ সমর্থন করি। কারণ আপনি যখন কারও সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন, তখন আপনি সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। না মানে না। আপনারা একে-অপরের সম্পর্কে জানতে পারেন। আমাদের সবারই কিছু পছন্দ-অপছন্দ আছে। লিভ-ইনের ক্ষেত্রে সেটা আগে থেকে বোঝা সম্ভব। এটি বিবাহবিচ্ছেদের হার কমাতে সাহায্য করে।’

বর্তমানে বিবাহবিচ্ছেদের ক্রমবর্ধমান হারের কথা উল্লেখ করে সোমি আলি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান এবং বিশ্বজুড়ে বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেশি। জিনাত অত্যন্ত বুদ্ধিমান। সান ফ্রান্সিসকোতে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বুদ্ধিমান, শিক্ষিত এবং স্পষ্টভাষী। আমি নিন্দুকদের বলতে চাই যে আমরা আর ১৯৫০-এর দশকে বাস করি না। ২০২৪ সালে বিশ্ব অনেক বদলে গিয়েছে এবং আইনত একজন পুরুষ ও একজন নারী লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকতেই পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখেছি, যেখানে লোকেরা একে-অপরকে না জেনেই বিয়ে করে এবং তারপরে বিবাহবিচ্ছেদে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই ভারত ও পাকিস্তানে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। জিনাত সম্পর্কে আমি শেষ একটি কথা বলতে চাই। তিনি যা পরামর্শ দিয়েছেন তা বিবাহবিচ্ছেদের হার কমাতে সহায়তা করতে পারে। আপনি যদি লিভ-ইনে থাকেন তবে আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে সক্ষম হবেন। জিনাত লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করে আমাদের অনেক উপকার করেছেন।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

বিয়ের আগে সহবাসের পরামর্শ ভারতীয় অভিনেত্রীর?

আপডেট সময় ০৩:৫৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন সোমি আলি ও জিনাত আমান। ছবি-সংগ্রহীত
নব্বইয়ের দশকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন সোমি আলি। সম্পর্কে ছিলেন বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গেও। যদিও বর্তমানে তিনি কাজ করছেন নারী স্বাধীনতা নিয়ে। গার্হস্থ্য হিংসা ও মানব পাচারের মুখে পড়ে যে নারীরা, তাদের একটি সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিতে কাজ করে চলেছেন বর্তমানে। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে তিনি লিভ-ইন নিয়ে জিনাত আমানের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

জিনাতের ভাইরাল হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের হয়ে গলা মেলালেন সোমি আলি। তিনি বলেন, ‘আমি যখন মাউন্ট মেরির বিদ্যাচলে থাকতাম, তখন জিনাত এবং মাজহার ভাই (জিনাতের প্রয়াত স্বামী) আমার প্রতিবেশী ছিলেন। জ্যাকি শ্রফ এবং আয়েশাও (শ্রফ) কাছাকাছি থাকতেন। আমরা যখনই শুটিংয়ে যেতাম, তখনই দেখা হত। সম্প্রতি অনেকেই তার নিন্দা করেছেন। আমাদের জনসংখ্যা বর্তমানে ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছে। আমি মোটেও লিভ-ইন সম্পর্কের বিরোধী নই। জিনাতের বক্তব্যকে ১০০ শতাংশ সমর্থন করি। কারণ আপনি যখন কারও সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন, তখন আপনি সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। না মানে না। আপনারা একে-অপরের সম্পর্কে জানতে পারেন। আমাদের সবারই কিছু পছন্দ-অপছন্দ আছে। লিভ-ইনের ক্ষেত্রে সেটা আগে থেকে বোঝা সম্ভব। এটি বিবাহবিচ্ছেদের হার কমাতে সাহায্য করে।’

বর্তমানে বিবাহবিচ্ছেদের ক্রমবর্ধমান হারের কথা উল্লেখ করে সোমি আলি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান এবং বিশ্বজুড়ে বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেশি। জিনাত অত্যন্ত বুদ্ধিমান। সান ফ্রান্সিসকোতে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বুদ্ধিমান, শিক্ষিত এবং স্পষ্টভাষী। আমি নিন্দুকদের বলতে চাই যে আমরা আর ১৯৫০-এর দশকে বাস করি না। ২০২৪ সালে বিশ্ব অনেক বদলে গিয়েছে এবং আইনত একজন পুরুষ ও একজন নারী লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকতেই পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখেছি, যেখানে লোকেরা একে-অপরকে না জেনেই বিয়ে করে এবং তারপরে বিবাহবিচ্ছেদে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই ভারত ও পাকিস্তানে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। জিনাত সম্পর্কে আমি শেষ একটি কথা বলতে চাই। তিনি যা পরামর্শ দিয়েছেন তা বিবাহবিচ্ছেদের হার কমাতে সহায়তা করতে পারে। আপনি যদি লিভ-ইনে থাকেন তবে আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে সক্ষম হবেন। জিনাত লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করে আমাদের অনেক উপকার করেছেন।’