ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাফলংয়ে স্বপন বাহিনীর তাণ্ডব শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বোরহানউদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন সমন্বয়‌কের বাড়ির দেয়া‌লে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ লিখে হুমকি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫ ১৬ বছরের জেদ, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই চুল কাটবেন সাবু! পর্যটক সীমিত করলেও নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবনসেন্টমার্টিনে জামালপুরে ফুলকপি ও লাউয়ের মিশ্র চাষে লাভবান আনিস আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে নিজের মনে করে ব্যবহার করেছেন:রংপুরে জামাতের আমীর

বেপরোয়া মিল্টন সমাদ্দার কেন কাউকে পাত্তা দিতেন না, জানালেন ডিবিপ্রধান

ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার কাউকেই পরোয়া করতেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ।
মিল্টন সমাদ্দারের সাত দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, তার এসব কর্মকাণ্ডের মূল শক্তি ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা। তিনি নিজে মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবেন না।

বাবাকে পেটানো মিল্টন সমাদ্দার যেভাবে হয়েছিলেন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ) তৈরি করে ডাক্তারের সই জাল করে নিজেই সবকিছু লিখে দিতেন। এছাড়া তার আশ্রমে কোনো চিকিৎসক ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে তিনি নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করতেন। আর আশ্রমে আসা অধিকাংশ মানুষজনই প্যারালাইজড কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। তখন মিল্টন তাদের পিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

হারুন আরও বলেন, আমরা তার কাছে এসব নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছি। আমাদের জানিয়েছেন, যখন নির্যাতন করা হতো তখন তিনি ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতেন। এতে তখন তার কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকত না। এ কাজটি করা ঠিক হয়নি বলেও মিল্টন স্বীকার করেছেন।

মিল্টনকে আবারো রিমান্ডে আনা হবে জানিয়ে হারুন বলেন, প্রয়োজনে তার স্ত্রীকে আবারো ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাফলংয়ে স্বপন বাহিনীর তাণ্ডব

বেপরোয়া মিল্টন সমাদ্দার কেন কাউকে পাত্তা দিতেন না, জানালেন ডিবিপ্রধান

আপডেট সময় ০৬:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার কাউকেই পরোয়া করতেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ।
মিল্টন সমাদ্দারের সাত দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, তার এসব কর্মকাণ্ডের মূল শক্তি ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা। তিনি নিজে মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবেন না।

বাবাকে পেটানো মিল্টন সমাদ্দার যেভাবে হয়েছিলেন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ) তৈরি করে ডাক্তারের সই জাল করে নিজেই সবকিছু লিখে দিতেন। এছাড়া তার আশ্রমে কোনো চিকিৎসক ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে তিনি নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করতেন। আর আশ্রমে আসা অধিকাংশ মানুষজনই প্যারালাইজড কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। তখন মিল্টন তাদের পিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

হারুন আরও বলেন, আমরা তার কাছে এসব নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছি। আমাদের জানিয়েছেন, যখন নির্যাতন করা হতো তখন তিনি ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতেন। এতে তখন তার কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকত না। এ কাজটি করা ঠিক হয়নি বলেও মিল্টন স্বীকার করেছেন।

মিল্টনকে আবারো রিমান্ডে আনা হবে জানিয়ে হারুন বলেন, প্রয়োজনে তার স্ত্রীকে আবারো ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।