ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার কাউকেই পরোয়া করতেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ।
মিল্টন সমাদ্দারের সাত দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, তার এসব কর্মকাণ্ডের মূল শক্তি ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা। তিনি নিজে মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবেন না।
বাবাকে পেটানো মিল্টন সমাদ্দার যেভাবে হয়েছিলেন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ) তৈরি করে ডাক্তারের সই জাল করে নিজেই সবকিছু লিখে দিতেন। এছাড়া তার আশ্রমে কোনো চিকিৎসক ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে তিনি নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করতেন। আর আশ্রমে আসা অধিকাংশ মানুষজনই প্যারালাইজড কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। তখন মিল্টন তাদের পিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
হারুন আরও বলেন, আমরা তার কাছে এসব নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছি। আমাদের জানিয়েছেন, যখন নির্যাতন করা হতো তখন তিনি ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতেন। এতে তখন তার কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকত না। এ কাজটি করা ঠিক হয়নি বলেও মিল্টন স্বীকার করেছেন।
মিল্টনকে আবারো রিমান্ডে আনা হবে জানিয়ে হারুন বলেন, প্রয়োজনে তার স্ত্রীকে আবারো ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।