শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর নিয়োগে শিক্ষা বোর্ডকে আরও সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, তাতে যারা যুক্ত রয়েছে ইতোমধ্যে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সব শিক্ষা বোর্ডকে আরও সতর্ক হতে হবে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ‘একাত্তরে গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার অপশক্তিরা দেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেই অপশক্তি এখনো ক্রিয়াশীল, তারা এখনো খুবই সক্রিয়।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাজনীতি তো দেশের সেবা; মানুষের সেবা, বিষটি ইতিবাচক। আপনারা মুখে বলেন, রাজনীতি করছি, অথচ এই বাংলাদেশে বাস করে শহীদের রক্ত নিয়ে ঔদ্ধত্য দেখান। স্বাধীনতার শত্রু মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে নিয়ে ক্ষমতায় যান। শহীদদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তাদের গাড়িতে তুলে দেন। কেন তারা এদেশের রাজনীতিতে থাকবেন? এটি আমাদের বোধগম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতার পরে সেখানে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষের শক্তি কেন থাকবে? স্বাধীন যখন হয়ে গেছে, যারা সরকারে থাকবে তারা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ হবে, যারা বিরোধী দলে থাকবে তারাও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ হবে। তারা সবাই মিলে স্বাধীন দেশটাকে গড়বে—যেখানে সরকার ও বিরোধী দল সবাই মিলে-মিশে থাকবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পরে এমন একটি পরিস্থিতিতে আমরা আছি। এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখন সরকারে আছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর বিরোধী দলের একটা অংশ স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জায়গায় ফিরে আসতে পেরেছি। সরকারে পরপর তিনটি মেয়াদে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। সে জন্য আজকের এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তি যতোই আস্ফালন করুক না কেন, বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, তারপরও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এই বাংলাদেশে আর কেউ তা করতে পারেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেরেছেন।