ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আদালতে হাফিজের অনুসারীদের স্লোগান, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

মঙ্গলবার হুইল চেয়ারে আদালতে হাজির হন বিএনপি নেতা মেজর হাফিজ
গুলশান থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মেজর হাফিজের আইনজীবী আমিনুল হক। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

এদিন সকাল ১০টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হুইল চেয়ারে করে উপস্থিত হন তিনি। তার জামিন নামঞ্জুরের পর আদালত এলাকায় স্লোগান দেন মেজর হাফিজের অনুসারীরা। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়।

বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

সাজাপ্রাপ্ত হওয়া মামলাটির সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাংচুরের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা ও বিএনএমের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ। তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি।

ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ মামলায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এ কারাদণ্ড প্রদান করেন। তাদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় তিনমাস ও ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। তাদের বয়স বিবেচনায় এ কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

অপরদিকে মামলার অন্য আসামি এমএ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, মো. বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাজুকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

তাদের দণ্ডবিধি ১৪৩ ধারায় ছয়মাস ও দণ্ডবিধি ৪৩৫ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে।

এছাড়া মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমএ কাউয়ুম, মো. দুলাল, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, মো. জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সামসুল হক মিয়াজী, মো. বিপ্লব, মো. খুরশিদ আলম মমতাজ, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. মাহাবুব।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

আদালতে হাফিজের অনুসারীদের স্লোগান, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

আপডেট সময় ০১:০২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

মঙ্গলবার হুইল চেয়ারে আদালতে হাজির হন বিএনপি নেতা মেজর হাফিজ
গুলশান থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মেজর হাফিজের আইনজীবী আমিনুল হক। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

এদিন সকাল ১০টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হুইল চেয়ারে করে উপস্থিত হন তিনি। তার জামিন নামঞ্জুরের পর আদালত এলাকায় স্লোগান দেন মেজর হাফিজের অনুসারীরা। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়।

বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

সাজাপ্রাপ্ত হওয়া মামলাটির সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাংচুরের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা ও বিএনএমের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ। তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি।

ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ মামলায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এ কারাদণ্ড প্রদান করেন। তাদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় তিনমাস ও ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। তাদের বয়স বিবেচনায় এ কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

অপরদিকে মামলার অন্য আসামি এমএ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, মো. বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাজুকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

তাদের দণ্ডবিধি ১৪৩ ধারায় ছয়মাস ও দণ্ডবিধি ৪৩৫ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে।

এছাড়া মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমএ কাউয়ুম, মো. দুলাল, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, মো. জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সামসুল হক মিয়াজী, মো. বিপ্লব, মো. খুরশিদ আলম মমতাজ, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. মাহাবুব।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।