ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

যে কারণে শোয়েবকে ডিভোর্স দেন সানিয়া মির্জা

পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক নতুন ভালোবাসাকে আগলে রাখতে গিয়ে পুরাতন ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়েছেন। ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়ে ২০১০ সালে ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করেছিলেন পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার। দুই বৈরি সম্পর্কের দেশে এমন বিয়ের আয়োজন স্বাভাবিকভাবেই সবার নজর কেড়েছিল। যদিও আলোচনায় থাকা সেই বিয়ের মেয়াদ তের বছর রইলো।

২০২৩ সালেই সানিয়া মির্জা শোয়েব মালিককে ডিভোর্স দিয়ে দেন। তবে তা আলোচনায় আসেনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। এরমাঝে শোয়েব মালিক নিজের জীবনে সঙ্গী করে নিয়েছেন অভিনেত্রী সানা জাভেদকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে নামার মাত্র একঘণ্টা আগে প্রকাশ করেছেন নিজের তৃতীয় বিয়ের ছবি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, নিশ্চয়ই তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে।’ আর এতেই সবাই বুঝে নেয়, ৪১ বছর বয়সী পাকিস্তানি ক্রিকেটারের জীবনে সানিয়া এখন অতীত হয়ে গেছে। তবে তখন পর্যন্ত জানা যায়নি বিস্তারিত কিছুই। যদিও দিন পার না হতেই ভারত এবং পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে নতুন নতুন সব তথ্য হাজির হতে শুরু করে।

সানিয়া মির্জা ঠিক কি কারণে শোয়েব মালিককে ডিভোর্স দিয়েছেন সেই তথ্যটাও বের করে এনেছেন পাকিস্তানের সংবাদ কর্মীরা। এবং উঠে এসেছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের পারিবারিক বক্তব্যটাও।

বিগত বছরগুলোতে শোয়েব মালিককে অনেকবার দেখা যায় পাকিস্তানের টিভি অভিনেত্রী আয়শা ওমরের সাথে। সেখান থেকেই গুঞ্জনের ডালপালা ছড়ায়। তবে শোয়েব ও আয়শা দুজনেই বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে এই ক্রিকেটার এবং সম্পর্কের প্রতি নিজের জমে থাকা আক্ষেপের জানান দিয়েছেন সানিয়া মির্জা। যদিও শেষ পর্যন্ত জানা গেল শোয়েব মালিকের প্রেমিকা ছিলেন অভিনেত্রী সানা জাভেদ।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য পাকিস্তান ডেইলি’ জানিয়েছে, এ বিয়েতে মালিকের আপনজনেরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সানিয়ার সাথে বিবাহবিচ্ছেদের একটি কারণও সেখানে বলা হয়েছে মালিকের বোনের বরাত দিয়ে। গণমাধ্যমটি লিখেছে, ডিভোর্সি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সাথে শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিয়েতে তাঁর কোনো স্বজন উপস্থিত ছিলেন না।

পত্রিকাটি জানায়, ‘টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নিয়ে মালিকের বোনেরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকি বলা হচ্ছে, মালিকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সানিয়া রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছিলেন।’

অন্যদিকে শোয়েব মালিকের বিয়ের পর নিজের পক্ষ থেকেও জবাব দিয়েছেন সানিয়া মির্জা। সানিয়ার পরিবার ও সানিয়া টিমের নামের প্রচার করা সেই বিবৃতিতে লেখা ছিল যে, ‘সানিয়া সব সময়ের জন্যই তার ব্যক্তিগত জীবন জনসাধারনের কাছ থেকে আড়ালে রেখেছেন। যা–ই হোক, এখন এটা জানানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে যে শোয়েব আর তার বিবাহবিচ্ছেদ কয়েক মাস পূর্বেই হয়ে গিয়েছে। সে শোয়েবের নতুন এই যাত্রার জন্য শুভকামনা জানিয়েছে।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

যে কারণে শোয়েবকে ডিভোর্স দেন সানিয়া মির্জা

আপডেট সময় ০৩:১৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক নতুন ভালোবাসাকে আগলে রাখতে গিয়ে পুরাতন ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়েছেন। ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়ে ২০১০ সালে ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করেছিলেন পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার। দুই বৈরি সম্পর্কের দেশে এমন বিয়ের আয়োজন স্বাভাবিকভাবেই সবার নজর কেড়েছিল। যদিও আলোচনায় থাকা সেই বিয়ের মেয়াদ তের বছর রইলো।

২০২৩ সালেই সানিয়া মির্জা শোয়েব মালিককে ডিভোর্স দিয়ে দেন। তবে তা আলোচনায় আসেনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। এরমাঝে শোয়েব মালিক নিজের জীবনে সঙ্গী করে নিয়েছেন অভিনেত্রী সানা জাভেদকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে নামার মাত্র একঘণ্টা আগে প্রকাশ করেছেন নিজের তৃতীয় বিয়ের ছবি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, নিশ্চয়ই তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে।’ আর এতেই সবাই বুঝে নেয়, ৪১ বছর বয়সী পাকিস্তানি ক্রিকেটারের জীবনে সানিয়া এখন অতীত হয়ে গেছে। তবে তখন পর্যন্ত জানা যায়নি বিস্তারিত কিছুই। যদিও দিন পার না হতেই ভারত এবং পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে নতুন নতুন সব তথ্য হাজির হতে শুরু করে।

সানিয়া মির্জা ঠিক কি কারণে শোয়েব মালিককে ডিভোর্স দিয়েছেন সেই তথ্যটাও বের করে এনেছেন পাকিস্তানের সংবাদ কর্মীরা। এবং উঠে এসেছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের পারিবারিক বক্তব্যটাও।

বিগত বছরগুলোতে শোয়েব মালিককে অনেকবার দেখা যায় পাকিস্তানের টিভি অভিনেত্রী আয়শা ওমরের সাথে। সেখান থেকেই গুঞ্জনের ডালপালা ছড়ায়। তবে শোয়েব ও আয়শা দুজনেই বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে এই ক্রিকেটার এবং সম্পর্কের প্রতি নিজের জমে থাকা আক্ষেপের জানান দিয়েছেন সানিয়া মির্জা। যদিও শেষ পর্যন্ত জানা গেল শোয়েব মালিকের প্রেমিকা ছিলেন অভিনেত্রী সানা জাভেদ।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য পাকিস্তান ডেইলি’ জানিয়েছে, এ বিয়েতে মালিকের আপনজনেরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সানিয়ার সাথে বিবাহবিচ্ছেদের একটি কারণও সেখানে বলা হয়েছে মালিকের বোনের বরাত দিয়ে। গণমাধ্যমটি লিখেছে, ডিভোর্সি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সাথে শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিয়েতে তাঁর কোনো স্বজন উপস্থিত ছিলেন না।

পত্রিকাটি জানায়, ‘টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নিয়ে মালিকের বোনেরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকি বলা হচ্ছে, মালিকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সানিয়া রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছিলেন।’

অন্যদিকে শোয়েব মালিকের বিয়ের পর নিজের পক্ষ থেকেও জবাব দিয়েছেন সানিয়া মির্জা। সানিয়ার পরিবার ও সানিয়া টিমের নামের প্রচার করা সেই বিবৃতিতে লেখা ছিল যে, ‘সানিয়া সব সময়ের জন্যই তার ব্যক্তিগত জীবন জনসাধারনের কাছ থেকে আড়ালে রেখেছেন। যা–ই হোক, এখন এটা জানানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে যে শোয়েব আর তার বিবাহবিচ্ছেদ কয়েক মাস পূর্বেই হয়ে গিয়েছে। সে শোয়েবের নতুন এই যাত্রার জন্য শুভকামনা জানিয়েছে।’