সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মারাকেশ চুক্তি অনুসমর্থনের মাধ্যমে দৃষ্টি ও পঠন প্রতিবন্ধীদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মিলনায়তনে বাংলাদেশের ১১৬তম দেশ হিসেবে মারাকেশ চুক্তি অনুসমর্থন উদযাপন এবং এর জন্য পরবর্তী করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
কে এম খালিদ বলেন, কপিরাইট আইন পাসের মাধ্যমে মারাকেশ চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন হবে। আইনটির ৫১ ধারা ও ৭০(২) উপধারায় এ সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হয়েছে। ‘কপিরাইট আইন ২০২২’ বহুমাত্রিক ও বহু অংশীজনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট একটি আইন। ২৮টি মন্ত্রণালয়ের মতামত সন্নিবেশিত করে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী আইন হিসেবে এটি প্রণীত হতে যাচ্ছে। আইনটি বিল আকারে পাসের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে শিগগিরই উত্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘এক হাজার গ্রন্থাগারে মুজিব কর্নার স্থাপন’ প্রকল্পে ব্রেইল বই যুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্রেইল বই প্রকাশনায়ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চুক্তির ফলে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তি, ক্ষীণ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং কোনো না কোনোভাবে পড়তে অক্ষম এমন ব্যক্তির জন্য ব্রেইল, অডিও অথবা বড় হরফে বই এবং দলিলাদি মুদ্রণ করা যাবে। এক্ষেত্রে লেখকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। তবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে এ কাজ করতে পারবে না।
ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. আনোয়ার উল্যাহ, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম-সচিব মো. দাউদ মিয়া, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এবং ভিজুয়াল ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর আহমেদ চৌধুরী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন কপিরাইট বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ১১৬তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে মারাকেশ চুক্তিতে অনুসমর্থন করেছে।