ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

মার্চে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাতে দেশি-বিদেশি পরিকল্পনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে নির্বাচন। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উসকানি আছে নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।

শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার মূল শক্তি ও সাহস হচ্ছে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়াবাসী। আর বাংলাদেশের জনগণ তো আছেই। এজন্য আমি সর্বক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আপনারা আমার নির্বাচনি এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আমি সারা দেশের কথা ভাবতে পারছি। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা আমাকে প্রার্থী করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোট চাওয়া যায় না। নির্বাচনি একটি শৃঙ্খলা আছে। আমাদের সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। আমরা নির্বাচনকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছি। আমরা আইন পাশ করে এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। এটাকে স্থায়ীভাবে রূপ দেওয়াটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার ছেলে মুচলেকা দিয়ে চলে গেল লন্ডন। বলল, আর জীবনে রাজনীতি করব না। এখন ওখানে বসে হুকুম দিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে। জিয়াউর রহমান যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে জিয়ার বউ ক্ষমতায় এসে আমাদের আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের হত্যা করে। আর তার ছেলেও এখন একই কাজ করছে। জিয়া পরিবার পুরোটাই একটি খুনি পরিবার। তারা মানুষ খুন আর দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই চায় না। নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ বানিয়েছে, সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এরা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এটাই তাদের চরিত্র।

তিনি বলেন, এখন তারা (বিএনপি) আউটসোর্সিং আন্দোলন শুরু করেছে। কিছু ড্রাগ অ্যাডিক্ট ও সমাজের অবাধ্য লোকজন দিয়ে তাদের হাতে টাকা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আবার এক যুবদল নেতা সরাসরি বাসে আগুন দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। অনেক স্থানে জনগণও এসব সন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। তারপরও এদের লজ্জা হয় না। গতকাল ও পরশু চাল বোঝাই গাড়িতে আগুন দিয়েছে। দেশের মানুষ যে খাবার খাচ্ছে তা ওদের পছন্দ হচ্ছে না। ঠিক পাকিস্তানিরা এভাবে ঘোলা ভরা ধান পুড়িয়ে দিয়েছিল।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ-সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ-সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ-সদস্য শেখ সারহান নাসের তম্ময়, যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী নাজমা আক্তার, সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন শেখ প্রমুখ।

এরআগে সকাল পৌনে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাসভবন থেকে কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসেন। মতবিনিময় সভা শেষে আবারও সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি। সেখান থেকে বিকালে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার ২ দিনের সফরে গোপালগঞ্জে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে সরকারি প্রটোকল ছাড়াই এ সফরে আসেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা

মার্চে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাতে দেশি-বিদেশি পরিকল্পনা

আপডেট সময় ০২:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে নির্বাচন। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উসকানি আছে নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।

শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার মূল শক্তি ও সাহস হচ্ছে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়াবাসী। আর বাংলাদেশের জনগণ তো আছেই। এজন্য আমি সর্বক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আপনারা আমার নির্বাচনি এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আমি সারা দেশের কথা ভাবতে পারছি। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা আমাকে প্রার্থী করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোট চাওয়া যায় না। নির্বাচনি একটি শৃঙ্খলা আছে। আমাদের সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। আমরা নির্বাচনকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছি। আমরা আইন পাশ করে এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। এটাকে স্থায়ীভাবে রূপ দেওয়াটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার ছেলে মুচলেকা দিয়ে চলে গেল লন্ডন। বলল, আর জীবনে রাজনীতি করব না। এখন ওখানে বসে হুকুম দিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে। জিয়াউর রহমান যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে জিয়ার বউ ক্ষমতায় এসে আমাদের আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের হত্যা করে। আর তার ছেলেও এখন একই কাজ করছে। জিয়া পরিবার পুরোটাই একটি খুনি পরিবার। তারা মানুষ খুন আর দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই চায় না। নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ বানিয়েছে, সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এরা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এটাই তাদের চরিত্র।

তিনি বলেন, এখন তারা (বিএনপি) আউটসোর্সিং আন্দোলন শুরু করেছে। কিছু ড্রাগ অ্যাডিক্ট ও সমাজের অবাধ্য লোকজন দিয়ে তাদের হাতে টাকা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আবার এক যুবদল নেতা সরাসরি বাসে আগুন দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। অনেক স্থানে জনগণও এসব সন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। তারপরও এদের লজ্জা হয় না। গতকাল ও পরশু চাল বোঝাই গাড়িতে আগুন দিয়েছে। দেশের মানুষ যে খাবার খাচ্ছে তা ওদের পছন্দ হচ্ছে না। ঠিক পাকিস্তানিরা এভাবে ঘোলা ভরা ধান পুড়িয়ে দিয়েছিল।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ-সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ-সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ-সদস্য শেখ সারহান নাসের তম্ময়, যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী নাজমা আক্তার, সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন শেখ প্রমুখ।

এরআগে সকাল পৌনে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাসভবন থেকে কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসেন। মতবিনিময় সভা শেষে আবারও সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি। সেখান থেকে বিকালে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার ২ দিনের সফরে গোপালগঞ্জে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে সরকারি প্রটোকল ছাড়াই এ সফরে আসেন।