স্বাক্ষর জাল করে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা (বিআরটিসি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। যা ষড়যন্ত্রমূলত জানিয়ে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এস্টেট) মো. গোলাম ফারুকসহ ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত ৬ ডিসেম্বর বুধবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে এ মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নম্বর-১৩।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মতিঝিল জোনের উপপুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, বিআরটিসির উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। বিআরটিসি একটি কেপিআই ভুক্ত এলাকায় হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা প্রশ্নে পুলিশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
দায়েরকৃত মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা বাইরের যাদেরই এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, চলমান হরতাল অবরোধের মধ্যেও প্রথম কর্ম দিবসে বেতন দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যেও অব্যাহত আছে যাত্রীসেবা। বিআরটিসির উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বার্থান্বেসী মহল তৎপর রয়েছে। এসব অপকর্ম রুখতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির সকল পরিচালক, জিএম, ডিজিএম, ঢাকাস্থ ম্যানেজারসহ ঢাকার বাইরের ম্যানেজররা (অনলাইনে)।