স্বল্পভাষী বলতে যা বুঝায়, বাংলাদেশ দলের ওপেনার মাহমুদুল হাসান ঠিক তা-ই। তবে যতটুকু বলেন তাতে চিন্তার ছাপ থাকে। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মাহমুদুল। ১৬৬ বলে ৮৬ রান করা মাহমুদুলই সিলেট টেস্টে প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
যদিও মাহমুদুলকে নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট মনে হয়নি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৭ বল খেলে ৭৬ রান করে আউট হয়েছিলেন। আজও থিতু হয়ে আউট হওয়ার ভুল করার পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ মাহমুদুল।
সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাহমুদুলের উত্তর, ‘হ্যাঁ, হতাশ।’ কিছুক্ষণ থেমে যোগ করলেন, ‘ওপেনার হিসেবে প্রতিদিন তো আর থিতু হওয়ার সুযোগ আসে না। দুটো সুযোগই হাতছাড়া করেছি। ইনশা আল্লাহ সামনে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।’ অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুল বলেছেন, ‘আমারও বড় ইনিংসের সুযোগ ছিল, মিস করে ফেলেছি। প্রতিদিন এরকম সুযোগ আসে না। আজ এসেছিল, মিস করে ফেলেছি।’
মাহমুদুল যে ভুলটা ৮৬ রান করার পর করেছেন, সেটি দলের অন্যরা করেছেন ২০-৩০–এর ঘরে পৌঁছে। তাই দিন শেষে স্কোরবোর্ডে তিন শ রান (৯ উইকেটে ৩১০) জমা হলেও তা যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। যদিও উইকেট ও নিজেদের স্পিন শক্তির বিবেচনায় বাংলাদেশের রানটাকে ভালোই মনে করছেন মাহমুদুল। তাঁর কথা, ‘সবাই ভালো শুরু পেয়েছিল কিন্তু বিল্ড আপ করতে পারেনি। এটা আমাদের আক্ষেপ। বোর্ডে ৩০০ রান আসে। এখন ভালো পজিশনে আছি।’
তবে বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ছিল আরও বড়। গুরুত্বপূর্ণ টস জয়ের পর তাদের লক্ষ্য ছিল প্রথম ইনিংসে অন্তত সাড়ে তিন শ রান করা। মাহমুদুলই বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ৩৫০ বা ৩৮০ রান, হয়নি।’
তবে মাহমুদুলের আশা, যে রান আছে, তা দিয়েই নিউজিল্যান্ডকে চাপে রাখার চেষ্টা করবে বাংলাদেশ। সে দায়িত্বটা যে স্পিনারদের নিতে হবে, মাহমুদুলের কথায় ফুটল আভাস, ‘চেষ্টা করব যে রান আছে এই রানের মধ্যে কোয়ালিটি স্পিনার দিয়ে ওদের আটকে রাখা। স্পিনাররা যদি ভালো জায়গায় বল করতে পারে ইনশা আল্লাহ তাদের কম রানে অলআউট করা সম্ভব