সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লিতে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ২৫তম ওভারের কথা। সাদিরা সামারাবিক্রমা আউট হয়ে গেলে ক্রিজে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কিন্তু হেলমেটের ফিতা ঠিক না থাকায় ব্যাটিংয়ে নামতে দেরি করছিলেন তিনি। পরে অন্য একটি হেলমেট নিয়ে আসলেও সেটিও তার কাছে খেলায় ব্যবহারে উপযোগী মনে না হওয়ায় সময়ক্ষেপণ করছিলেন। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আউটের আবেদন জানান। আর এতে নিয়ম অনুযায়ী আউট দেন আম্পায়াররা।
এমসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথুস সেটি হতে পারেননি।অবশ্য এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, এক্ষেত্রে সময় ২ মিনিট। ফলে কার্যকরী হবে সেটিই। বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে টাইম আউট দিয়েছেন আম্পায়াররা। আউট হয়ে ফেরার পথে হেলমেট ছুড়ে মেরেছেন ম্যাথুস।
এদিন মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন সাকিব। সে সময়ে ধারণা করা হচ্ছিল, বিষয়টি তারই মস্তিষ্ক প্রসূত। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানিয়েছেন, তাকে আবেদন করতে উৎসাহিত করেছিলেন দলের এক ফিল্ডার।
টাইগার দলপতির ভাষ্য, আমাদের একজন ফিল্ডার আমার কাছে এসে বলল, যদি আমি আবেদন করি তাহলে (ম্যাথিউস) সে আউট হয়ে যাবে। এরপর আমি আবেদন করি এবং আম্পায়ার আমাকে জিজ্ঞেস করল আমি সিরিয়াস কি না। এটা নিয়মে আছে, জানি না সেটা ভুল নাকি সঠিক। তবে কোন ক্রিকেটার সে বিষয়ে খোলাসা করেননি সাকিব। তার দাবি, নাম বলা যাবে না।এদিকে দলীয় সূত্র বলছে, সাকিবকে মূলত নাজমুল হোসেন শান্ত পরামর্শটা দিয়েছিলেন।
টাইমড আউট নেওয়া প্রসঙ্গে সাকিবের মন্তব্য, মনে হচ্ছিল যেন যুদ্ধে আছি, তাই যা করার ছিল, সেটা করেছি আমি। এ নিয়ে বিতর্ক হবে। কিন্তু এটা যদি নিয়মে থাকে, আমি সেই সুযোগ নিতে পিছপা হব না। অবশ্যই এটা (টাইমড আউট) আমাদের সাহায্য করেছে সেটা অস্বীকার করবো না।অন্যদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে ম্যাথিউস বলেন, আমি ভুল কিছু করিনি। আমি যথাসময়েই মাঠে গিয়েছি। এটা হেলমেটের ভুল ছিল। আমি জানি না সাকিবের কমনসেন্স কোথায় গেল তখন, এটা সাকিব ও বাংলাদেশের কাছ থেকে অসম্মানজনক। তারা খেলাটাকে এতো নিচে নামাল। আইন অনুযায়ী আমি দুই মিনিটের মধ্যেই সেখানে ছিলাম।