ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

দুই ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ শুনানি আজ

২০১৮ সালের মার্চে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানার তৎকালীন ওসিসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণের শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ শুনানি হবে। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পর গত ১২ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মিলনের চাচা বি এম অলি উল্যাহ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।

অভিযোগের বিবরণীতে বলা হয়, মিলন ২০১৮ সালের ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হন। ওই দিন সকাল ১০-১১টায় মানববন্ধন শেষ করে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ ঢাকা মৎস্য ভবনের কাছে পৌঁছালে বাদীর ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনসহ অপর ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন ফরাজীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে প্রথমে রমনা থানায় নিয়ে যায়। রমনা মডেল থানার ঘটনাকালীন সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মিলন ও তার সঙ্গে থাকা আক্তার হোসেন ফরাজীকে নির্যাতন করে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানেও নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় ভিকটিম জাকির হোসেন মিলন ও আক্তার হোসেন ফরাজীকে।

বাদী হন্য হয়ে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে জানতে পারেন মার্চের ৮ তারিখ তাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে থাকা তার ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনকে জখম অবস্থায় কোর্টে উঠানো হয়েছে। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

একই বছরের ১১ মার্চ বাদী শুনতে পান, ভিকটিম জাকির হোসেন মিলনকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আদালতে হাজির করে। সে দিন সকালে বাদী ঢাকার সি.এম.এম. আদালতে হাজির হয়ে দেখতে পান দুই জন পুলিশ মিলনকে কোর্টে হাজির করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার মিলনকে মৃতপ্রায় অবস্থায় আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কেরানীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

দুই ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ শুনানি আজ

আপডেট সময় ১২:২৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

২০১৮ সালের মার্চে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানার তৎকালীন ওসিসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণের শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ শুনানি হবে। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পর গত ১২ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মিলনের চাচা বি এম অলি উল্যাহ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।

অভিযোগের বিবরণীতে বলা হয়, মিলন ২০১৮ সালের ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হন। ওই দিন সকাল ১০-১১টায় মানববন্ধন শেষ করে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ ঢাকা মৎস্য ভবনের কাছে পৌঁছালে বাদীর ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনসহ অপর ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন ফরাজীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে প্রথমে রমনা থানায় নিয়ে যায়। রমনা মডেল থানার ঘটনাকালীন সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মিলন ও তার সঙ্গে থাকা আক্তার হোসেন ফরাজীকে নির্যাতন করে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানেও নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় ভিকটিম জাকির হোসেন মিলন ও আক্তার হোসেন ফরাজীকে।

বাদী হন্য হয়ে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে জানতে পারেন মার্চের ৮ তারিখ তাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে থাকা তার ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনকে জখম অবস্থায় কোর্টে উঠানো হয়েছে। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

একই বছরের ১১ মার্চ বাদী শুনতে পান, ভিকটিম জাকির হোসেন মিলনকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আদালতে হাজির করে। সে দিন সকালে বাদী ঢাকার সি.এম.এম. আদালতে হাজির হয়ে দেখতে পান দুই জন পুলিশ মিলনকে কোর্টে হাজির করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার মিলনকে মৃতপ্রায় অবস্থায় আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কেরানীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।