ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বড় কান্দিতে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান চিত্র নায়ক থেকে রাজপথের নায়ক হেলাল খানের দক্ষ নেতৃত্বে আবারো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে জাসাস গাংনীর চিৎলা পাটবীজ খামার যেন জেডি মোর্শেদুলের পৈত্রিক সম্পত্তি! নওগাঁর সাবেক এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে ববি ছাত্রদলের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জামায়াতের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত ক্যাম্পাসের পুকুরে ভেসে উঠলো জুলাই যোদ্ধার লাশ রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই : এ্যানী চৌধুরী শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভায় মোবাইল কোর্ট  পরিচালনা করেছেন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্নত স্বাস্থ্য সেবার অঙ্গীকার নিয়ে নিউ লাইফ মেডিকেল সার্ভিসের যাত্রা শুরু করলো

দুই ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ শুনানি আজ

২০১৮ সালের মার্চে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানার তৎকালীন ওসিসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণের শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ শুনানি হবে। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পর গত ১২ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মিলনের চাচা বি এম অলি উল্যাহ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।

অভিযোগের বিবরণীতে বলা হয়, মিলন ২০১৮ সালের ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হন। ওই দিন সকাল ১০-১১টায় মানববন্ধন শেষ করে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ ঢাকা মৎস্য ভবনের কাছে পৌঁছালে বাদীর ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনসহ অপর ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন ফরাজীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে প্রথমে রমনা থানায় নিয়ে যায়। রমনা মডেল থানার ঘটনাকালীন সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মিলন ও তার সঙ্গে থাকা আক্তার হোসেন ফরাজীকে নির্যাতন করে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানেও নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় ভিকটিম জাকির হোসেন মিলন ও আক্তার হোসেন ফরাজীকে।

বাদী হন্য হয়ে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে জানতে পারেন মার্চের ৮ তারিখ তাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে থাকা তার ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনকে জখম অবস্থায় কোর্টে উঠানো হয়েছে। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

একই বছরের ১১ মার্চ বাদী শুনতে পান, ভিকটিম জাকির হোসেন মিলনকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আদালতে হাজির করে। সে দিন সকালে বাদী ঢাকার সি.এম.এম. আদালতে হাজির হয়ে দেখতে পান দুই জন পুলিশ মিলনকে কোর্টে হাজির করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার মিলনকে মৃতপ্রায় অবস্থায় আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কেরানীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বড় কান্দিতে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান

দুই ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ শুনানি আজ

আপডেট সময় ১২:২৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

২০১৮ সালের মার্চে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানার তৎকালীন ওসিসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণের শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ শুনানি হবে। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পর গত ১২ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মিলনের চাচা বি এম অলি উল্যাহ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।

অভিযোগের বিবরণীতে বলা হয়, মিলন ২০১৮ সালের ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হন। ওই দিন সকাল ১০-১১টায় মানববন্ধন শেষ করে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ ঢাকা মৎস্য ভবনের কাছে পৌঁছালে বাদীর ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনসহ অপর ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন ফরাজীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে প্রথমে রমনা থানায় নিয়ে যায়। রমনা মডেল থানার ঘটনাকালীন সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মিলন ও তার সঙ্গে থাকা আক্তার হোসেন ফরাজীকে নির্যাতন করে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানেও নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় ভিকটিম জাকির হোসেন মিলন ও আক্তার হোসেন ফরাজীকে।

বাদী হন্য হয়ে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে জানতে পারেন মার্চের ৮ তারিখ তাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে থাকা তার ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনকে জখম অবস্থায় কোর্টে উঠানো হয়েছে। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

একই বছরের ১১ মার্চ বাদী শুনতে পান, ভিকটিম জাকির হোসেন মিলনকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আদালতে হাজির করে। সে দিন সকালে বাদী ঢাকার সি.এম.এম. আদালতে হাজির হয়ে দেখতে পান দুই জন পুলিশ মিলনকে কোর্টে হাজির করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার মিলনকে মৃতপ্রায় অবস্থায় আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কেরানীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।