ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানবজাতির মুক্তির দিশারি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আবুল হাশেম বক্কর বি আর টি সির চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে সেমিনারে অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী ভুয়া ঠিকানায় নিরাপত্তা ছাড়পত্রের চেষ্টা গণপূর্তের প্রকৌশলী রাজু আহমেদের পটুয়াখালীতে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ২০ দিন কারাদন্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত একমঞ্চে গাইবেন আতিফ আসলাম ও তাহসান ভোজ্যতেলে ভ্যাট ছাড় দিল এনবিআর শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার রাকুলের পোশাকটি কেমন হবে, পরামর্শ দিতেন বাবা

এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ চেয়ে নোটিশ

ঢাকা: আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দশজন আইনজীবী।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইন সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, দেশের সিংহভাগ আইন ও আদালতের ব্যবস্থা এবং অবকাঠামো ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি। আদালতে অভিযুক্ত হাজিরার জন্য কাঠগড়ার প্রচলন ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়। তবে দুর্ধর্ষ আসামি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ডাণ্ডা-বেড়ি পড়িয়ে আদালতে হাজির করানো হতো। বিচার শেষে দোষীকে লোহার খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়েছে এমন ইতিহাস আছে। কিন্তু বিচার চলাকালীন আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে রাখার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। ভারতেও সাধারণ আদালতের কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নেই। আমাদের দেশের কোনো আইনে কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নিয়ে কোনো বিধান নেই।

তবে কারা আইন, ১৮৯৪ এর ৫৬ ধারামতে জেলে বন্দী কয়েদিকে সরকারের অনুমোদনক্রমে লৌহ-শৃঙ্খলে আটক করে রাখার বিধান আছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অভিযুক্তকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে অভিযুক্ত ব্যক্তির Presumption of Innocnce ভঙ্গ করা হচ্ছে। যা একই সঙ্গে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধি-বিধানের পরিপন্থি।

নোটিশে আরও বলা হয়, দেশি-বিদেশি আইন, আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান ও উচ্চ আদালতের নজিরসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায়, আদালতে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচার ব্যবহার অমানবিক। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ, আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান ও Principle of presumption of innocence -এর পরিপন্থি। মানুষের স্বাভাবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতে লোহার খাঁচার অপসারণ একান্ত প্রয়োজন।

এ অবস্থায় সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদসহ আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় মৌলিক অধিকারের সুরক্ষার্থে হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশ দেওয়া ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবজাতির মুক্তির দিশারি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আবুল হাশেম বক্কর

এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ চেয়ে নোটিশ

আপডেট সময় ১০:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দশজন আইনজীবী।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইন সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, দেশের সিংহভাগ আইন ও আদালতের ব্যবস্থা এবং অবকাঠামো ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি। আদালতে অভিযুক্ত হাজিরার জন্য কাঠগড়ার প্রচলন ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়। তবে দুর্ধর্ষ আসামি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ডাণ্ডা-বেড়ি পড়িয়ে আদালতে হাজির করানো হতো। বিচার শেষে দোষীকে লোহার খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়েছে এমন ইতিহাস আছে। কিন্তু বিচার চলাকালীন আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে রাখার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। ভারতেও সাধারণ আদালতের কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নেই। আমাদের দেশের কোনো আইনে কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নিয়ে কোনো বিধান নেই।

তবে কারা আইন, ১৮৯৪ এর ৫৬ ধারামতে জেলে বন্দী কয়েদিকে সরকারের অনুমোদনক্রমে লৌহ-শৃঙ্খলে আটক করে রাখার বিধান আছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অভিযুক্তকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে অভিযুক্ত ব্যক্তির Presumption of Innocnce ভঙ্গ করা হচ্ছে। যা একই সঙ্গে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধি-বিধানের পরিপন্থি।

নোটিশে আরও বলা হয়, দেশি-বিদেশি আইন, আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান ও উচ্চ আদালতের নজিরসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায়, আদালতে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচার ব্যবহার অমানবিক। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ, আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান ও Principle of presumption of innocence -এর পরিপন্থি। মানুষের স্বাভাবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতে লোহার খাঁচার অপসারণ একান্ত প্রয়োজন।

এ অবস্থায় সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদসহ আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় মৌলিক অধিকারের সুরক্ষার্থে হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশ দেওয়া ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।