ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বজিৎ হত্যা : যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১০ বছর পর গ্রেপ্তার

বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খন্দকার মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছকে (৩৬) দীর্ঘ ১০ বছর পর নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ২১ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার আসামিদের ২১ জনের মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

গ্রেপ্তার খন্দকার মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছ নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও দীর্ঘদিন পলাতক থাকে। পরে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট ওই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খন্দকার ইউনুছ আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। হাইকোর্টে রায় ঘোষণার সময়ও খোন্দকার ইউনুস আলী পলাতক ছিল।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার  ইউনুছ আলী বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বজিৎ হত্যা : যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১০ বছর পর গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০১:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খন্দকার মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছকে (৩৬) দীর্ঘ ১০ বছর পর নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ২১ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার আসামিদের ২১ জনের মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

গ্রেপ্তার খন্দকার মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছ নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও দীর্ঘদিন পলাতক থাকে। পরে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট ওই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খন্দকার ইউনুছ আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। হাইকোর্টে রায় ঘোষণার সময়ও খোন্দকার ইউনুস আলী পলাতক ছিল।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার  ইউনুছ আলী বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।