দক্ষিণ কোরিয়ায় পদদলিত হয়ে বহু হতাহতের ঘটনায় শোক ও সহমর্মিতা জানিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। তারা মর্মান্তিক এ ঘটনায় হতাহতদের আত্মীয়-স্বজনরা যেন দ্রুত শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন সে প্রার্থনা জানিয়েছেন।
এক বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বলেছেন, আমরা কোরিয়ার জনগণের সঙ্গে শোক প্রকাশ করছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।কোরিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফিলিপ সেথ গোল্ডবার্গ এ ঘটনায় ইংরেজি ও কোরিয়ান ভাষায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন, গত রাতের হতাহতের ঘটনায় আমি স্তব্ধ। আমি আমার এবং দূতাবাসে আমার টিমের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক টুইটে লিখেছেন, এ দুর্ঘটনায় যারা খারাপ সময় পার করছেন আমাদের সব চিন্তাভাবনা এখন তাদের ঘিরে।
ফ্রান্স আপনাদের পাশে আছে, জানিয়ে টুইট করে শোক জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। জার্মানির চ্যান্সেলর ওফাল লিখেছেন, সিউলের মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য একটি দুঃখজনক দিন। জার্মানি আপনাদের পাশে আছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টি ট্রুডো লিখেছেন, প্রাণঘাতি পদদলনের ঘটনায় কানাডিয়ানদের পক্ষ থেকে আমি দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শোক জানাচ্ছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
ভয়াবহ এই ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানসে।দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৮২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন ইয়ংসান জেলা অগ্নি নির্বাপন বিভাগের প্রধান চৈ সং-বিওম।
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে ১৯ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তারা ইরান, উজবেকিস্তান, চীন ও নরওয়ের নাগরিক। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ কিশোর বা ২০ বছরের মধ্যে।স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানী সিউলের ইথেওন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে যাওয়ায় ৩ বছর পর জমকালো এই হ্যালোইন উৎসবের আয়োজন করা হয়।