ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অর্থনৈতিক লাভ দেখবে রেলওয়ে

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) রেলওয়ে স্টেশন থেকে: স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে ভাঙায় এসে পৌঁছেছে ট্রায়াল ট্রেন। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে ট্রেনটি ভাঙা স্টেশনে পৌঁছায়।

এর আগে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ১০টা ৭ মিনিটে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলস্টেশনের পথে রওনা হয়। বেলা ১১টা ২৬ মিনিট ট্রেনটি এ সেতুতে ওঠে, পার হয় ১১টা ৩৪ মিনিটে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু পাড়ি দিতে পরীক্ষামূলক ট্রেনটির সময় লেগেছে মাত্র আট মিনিট।

পরীক্ষামূলক হওয়ায় ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে ট্রেনটির। যাত্রী পরিবহন পুরোদমে শুরু হলে আরও কম সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হবে।

এদিকে ফরিদপুরে ভাঙ্গা স্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল করবে। আর আগামী বছরের জুন মাসেই যশোর পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এর মাধ্যমে মোংলা পোর্টকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহারের জন্য রেলপথকে কাজে লাগিয়ে খরচ ও সময় কমবে। এর মাধ্যমে এ রেল যোগাযোগ অর্থনৈতিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, খুলনায় যেসব ট্রেন চলছে সেগুলোকে এই রেল যোগাযোগের সঙ্গে যুক্ত করা হলে মোংলা পোর্টকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা যাবে। দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সেটি আরও বেশি প্রসারিত হবে। এই রেলপথকে কাজে লাগিয়ে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের সময় ও খরচ কমবে। ঢাকা থেকে খুলনার যে দূরত্ব তা অর্ধেকে নেমে আসবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, যাতায়াত, মালামাল পরিবহনে অনেক সুবিধা পাবে মানুষ। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন এই অঞ্চলের মানুষ। কলকাতার সঙ্গে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করে তাদেরকে আর বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মালামাল পরিবহন করতে হবে না। ঢাকা যশোর রেলপথ পুরোপুরি চালু হলে ঢাকা থেকে সরাসরি এই পথ ব্যবহার করা যাবে।

ঢাকা থেকে যশোর ১৭২ কিলোমিটারের রেল লাইনের মধ্যে আজ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রায়াল রান করলাম। এটা প্রস্তুত হয়েছে সেটা দেখলাম। আমাদের সাথে যাত্রী হয়ে সাংবাদিকরা এসেছেন। এসময় রেলের ডিজি, সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্টদের যারা এই প্রকল্পের জন্য নিরলস কাজ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এও জানান, আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এর আগের কোনো সরকার রেল নিয়ে কাজ করে নাই। প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১১ সালে রেল মন্ত্রণালয় গঠন করে রেলের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। রেল নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা মোটা দাগে, আমরা সমগ্র জেলায় রেল সংযোগ পৌঁছে দেব।

ভাঙা স্টেশন অত্যন্ত আধুনিক এবং আইকনিক বিল্ডিং দিয়ে তৈরি হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো- রেলের সম্পদ জনগণের সম্পদ। আপনারা এই সম্পদ রক্ষায় আমাদের সহায়তা করবেন। যাতে কোনো দুষ্টু লোক এই সম্পদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অর্থনৈতিক লাভ দেখবে রেলওয়ে

আপডেট সময় ০২:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) রেলওয়ে স্টেশন থেকে: স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে ভাঙায় এসে পৌঁছেছে ট্রায়াল ট্রেন। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে ট্রেনটি ভাঙা স্টেশনে পৌঁছায়।

এর আগে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ১০টা ৭ মিনিটে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলস্টেশনের পথে রওনা হয়। বেলা ১১টা ২৬ মিনিট ট্রেনটি এ সেতুতে ওঠে, পার হয় ১১টা ৩৪ মিনিটে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু পাড়ি দিতে পরীক্ষামূলক ট্রেনটির সময় লেগেছে মাত্র আট মিনিট।

পরীক্ষামূলক হওয়ায় ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে ট্রেনটির। যাত্রী পরিবহন পুরোদমে শুরু হলে আরও কম সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হবে।

এদিকে ফরিদপুরে ভাঙ্গা স্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল করবে। আর আগামী বছরের জুন মাসেই যশোর পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এর মাধ্যমে মোংলা পোর্টকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহারের জন্য রেলপথকে কাজে লাগিয়ে খরচ ও সময় কমবে। এর মাধ্যমে এ রেল যোগাযোগ অর্থনৈতিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, খুলনায় যেসব ট্রেন চলছে সেগুলোকে এই রেল যোগাযোগের সঙ্গে যুক্ত করা হলে মোংলা পোর্টকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা যাবে। দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সেটি আরও বেশি প্রসারিত হবে। এই রেলপথকে কাজে লাগিয়ে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের সময় ও খরচ কমবে। ঢাকা থেকে খুলনার যে দূরত্ব তা অর্ধেকে নেমে আসবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, যাতায়াত, মালামাল পরিবহনে অনেক সুবিধা পাবে মানুষ। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন এই অঞ্চলের মানুষ। কলকাতার সঙ্গে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করে তাদেরকে আর বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মালামাল পরিবহন করতে হবে না। ঢাকা যশোর রেলপথ পুরোপুরি চালু হলে ঢাকা থেকে সরাসরি এই পথ ব্যবহার করা যাবে।

ঢাকা থেকে যশোর ১৭২ কিলোমিটারের রেল লাইনের মধ্যে আজ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রায়াল রান করলাম। এটা প্রস্তুত হয়েছে সেটা দেখলাম। আমাদের সাথে যাত্রী হয়ে সাংবাদিকরা এসেছেন। এসময় রেলের ডিজি, সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্টদের যারা এই প্রকল্পের জন্য নিরলস কাজ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এও জানান, আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এর আগের কোনো সরকার রেল নিয়ে কাজ করে নাই। প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১১ সালে রেল মন্ত্রণালয় গঠন করে রেলের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। রেল নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা মোটা দাগে, আমরা সমগ্র জেলায় রেল সংযোগ পৌঁছে দেব।

ভাঙা স্টেশন অত্যন্ত আধুনিক এবং আইকনিক বিল্ডিং দিয়ে তৈরি হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো- রেলের সম্পদ জনগণের সম্পদ। আপনারা এই সম্পদ রক্ষায় আমাদের সহায়তা করবেন। যাতে কোনো দুষ্টু লোক এই সম্পদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে।