জায়েদ ইবনে শহিদ, স্টাফ রিপোর্টার : 
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাশ বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেছে মেডিকেল অ্যাসিষ্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থী। ফলে ওই স্কুলে গত তিন দিন ধরে ক্লাশ বন্ধ রয়েছে।
আজ বুধবার (২৩ আগষ্ট) সকাল থেকে মেডিকেল অ্যাসিষ্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের একডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় চার দফা দাবী আদায়ে বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড প্রদর্শন করে শ্লোগান দেয়। ফলে আজ তৃতীয় দিনের মত সকল ধরনের ক্লাস ও প্রশাসনিক কাজ বন্ধ করেছে। এর আগে গত ১৬ আগষ্ট থেকে চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এসময় একাডেমিক ভবনের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে ওই স্কুলের সকল কায্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
চার দফা দাবীগুলো হলো, ইন্টারশীপ বহালসহ অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন, এ্যালাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে অবিলম্বে মেডিকেল এ্যাডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন, কর্ম সংস্থান সৃজন ও দ্রুত নিয়োগ এবং বঙ্গবন্ধুর ৫ম বার্ষিকী কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষা প্রদান।
এসময় বক্তব্য রাখেন, টুঙ্গিপাড়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ, হাসিবুল হোসেন শান্ত, মাহমুদুল হাসান হৃদয়, আয়েশা নুদ্রাত রিধিকা, নিশিতা পাল, নাফিসা মুমতাজসহ আরো অনেকে।
টুঙ্গিপাড়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ ও নিশিতা পাল বলেন, সম্প্রতি ম্যাটস শিক্ষা কারিকুলামে আমাদের জন্য বাস্তবিক প্রশিক্ষণ তথা ইন্টার্নশিপ বাতিল করা হয়েছে। যা আমাদের দক্ষ মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে গড়ে ওঠা থেকে বঞ্চিত করবে। তাই ইন্টার্নশিপ মহলের দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের চার দফা দাবি গুলো সম্পূর্ণ যৌক্তিক। এই দাবি মানলে কারো কোন ক্ষতি হবে না। আমাদের দাবিগুলো মানলে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
১ম বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিসা মুমতাজ বলেন, জেলা উপজেলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লিট সহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজারের বেশি ম্যাচ শিক্ষার্থীদের পদ খালি রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক যুগ ধরে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের কোন নিয়োগ নাই। তাই ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।
২য় হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় সল্প খরচে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে মধ্যম মানের চিকিৎসক তৈরি করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫ম বার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৭৩ সালে ম্যাটস প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ প্রতিষ্ঠা হওয়ার ৪০ বছর পরেও মেলেনি উচ্চশিক্ষার সুযোগ। তাই আমরা এসব দাবিতে আন্দোলন করছি।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ প্রেমানন্দ মন্ডলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
