ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল কুমিল্লায় হাসপাতাল দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কেজি দরে বিআরটিসির বাস বিক্রি করে দিয়েছেন কর্মকর্তা

চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় পানিবন্দি লাখো মানুষ

চট্টগ্রাম: কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণে হাটহাজারী, রাউজান ও বোয়ালখালী উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অঘোষিত বন্ধ রয়েছে।

 

 

এসব এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ।

বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ রাস্তাঘাট। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকার মানুষের।

 

জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার মন্দাকিনী, পূর্ব ফরহাদাবাদ, সেকান্দর পাড়া, পূর্ব ধলই, মাইজপাড়া, পূর্ব এনায়েতপুর, মনোহর পাড়া, উত্তর ছাদেক নগর, গুমানমর্দ্দন বড়ুয়া পাড়া, কাটাখালীর কুল, মাস্টার পাড়া, রুদ্রপুর, কাজিরখীল, মোহাম্মদপুর, মীরেরখীল, কদলবাড়ী, মোজাফফরপুর, ভাগিরঘোনা, রহিমপুর, ইছাপুর, পূর্ব মেখল, ভবানীপুর, উত্তর মার্দাশা, মাদারীপোল, সাইনবোর্ড, খলিপারঘোনা, বাথুয়া, কুয়াইশ, বুড়িশ্চর, মধ্যম মার্দাসা গড়দুয়ারা, লোহারপোল, শিকারপুর, খন্দকিয়া, নাঙ্গলমোড়া, কুমারীকুল, সিকদারপাড়া, চারিয়া (আংশিক), মধুরঘোনা, আনন্দ বাজার, দক্ষিণ মেখল, পূর্ব ফতেপুর, মেহেরনেগা, মাছুয়াঘোনা প্রভৃতি এলাকার ৪০টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওপরের অংশ থেকে ঢলের পানি কমলেও নিচু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে। দক্ষিণ হাটহাজারীর শিকারপুর ও বুড়িশ্চর এলাকার কৃষ্ণখালী ও কুয়াইশ খাল দীর্ঘদিন সংস্কার ও খনন না করায় এই দুই ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক ও রাস্তাঘাট, এমনকি বসতঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।

রাউজান উপজেলার উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, পূর্বগুজরা, বিনাজুরী ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের ওপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কোনো কোনো রাস্তা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। হালদা ও কর্ণফুলীর পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে মানুষের বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাট বাজারের দোকানগুলো হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেকে ঘরে চলছে না রান্না। গৃহপালিত পশু নিয়ে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।

বোয়ালখালী উপজেলায় পানিতে কালুরঘাট ফেরির অ্যাপ্রোচ সড়ক, পন্টুন ও বেইলি সেতু ডুবে থাকায় পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। তবে এ সময় সেতুর ওপর দিয়ে পায়ে হাঁটার সুযোগ পাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে লোকজন। সকাল থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি ঢুকে পড়ায় সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম

চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় পানিবন্দি লাখো মানুষ

আপডেট সময় ০৩:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

চট্টগ্রাম: কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণে হাটহাজারী, রাউজান ও বোয়ালখালী উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অঘোষিত বন্ধ রয়েছে।

 

 

এসব এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ।

বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ রাস্তাঘাট। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকার মানুষের।

 

জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার মন্দাকিনী, পূর্ব ফরহাদাবাদ, সেকান্দর পাড়া, পূর্ব ধলই, মাইজপাড়া, পূর্ব এনায়েতপুর, মনোহর পাড়া, উত্তর ছাদেক নগর, গুমানমর্দ্দন বড়ুয়া পাড়া, কাটাখালীর কুল, মাস্টার পাড়া, রুদ্রপুর, কাজিরখীল, মোহাম্মদপুর, মীরেরখীল, কদলবাড়ী, মোজাফফরপুর, ভাগিরঘোনা, রহিমপুর, ইছাপুর, পূর্ব মেখল, ভবানীপুর, উত্তর মার্দাশা, মাদারীপোল, সাইনবোর্ড, খলিপারঘোনা, বাথুয়া, কুয়াইশ, বুড়িশ্চর, মধ্যম মার্দাসা গড়দুয়ারা, লোহারপোল, শিকারপুর, খন্দকিয়া, নাঙ্গলমোড়া, কুমারীকুল, সিকদারপাড়া, চারিয়া (আংশিক), মধুরঘোনা, আনন্দ বাজার, দক্ষিণ মেখল, পূর্ব ফতেপুর, মেহেরনেগা, মাছুয়াঘোনা প্রভৃতি এলাকার ৪০টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওপরের অংশ থেকে ঢলের পানি কমলেও নিচু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে। দক্ষিণ হাটহাজারীর শিকারপুর ও বুড়িশ্চর এলাকার কৃষ্ণখালী ও কুয়াইশ খাল দীর্ঘদিন সংস্কার ও খনন না করায় এই দুই ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক ও রাস্তাঘাট, এমনকি বসতঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।

রাউজান উপজেলার উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, পূর্বগুজরা, বিনাজুরী ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের ওপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কোনো কোনো রাস্তা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। হালদা ও কর্ণফুলীর পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে মানুষের বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাট বাজারের দোকানগুলো হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেকে ঘরে চলছে না রান্না। গৃহপালিত পশু নিয়ে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।

বোয়ালখালী উপজেলায় পানিতে কালুরঘাট ফেরির অ্যাপ্রোচ সড়ক, পন্টুন ও বেইলি সেতু ডুবে থাকায় পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। তবে এ সময় সেতুর ওপর দিয়ে পায়ে হাঁটার সুযোগ পাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে লোকজন। সকাল থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি ঢুকে পড়ায় সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের।