ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ব্যবসায়ীদের উচিত পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে প্রতিবাদ জানানো

বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর দেওয়া পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব থেকে সহসা আমাদের মুক্তি নেই, অন্তত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। কিন্তু সামাজিক পর্যায়ে এই অবস্থা নিরসনের জন্য জোরালো অবস্থান তুলে ধরা দরকার।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের উচিত হবে পাশ্চাত্যের সব রাষ্ট্রদূতকে নিমন্ত্রণ করে প্রতিবাদ জানানো, দেশের জনগণ কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা জানানো। প্রতিবাদ ওঠা উচিত বৃহত্তর সিভিল ও রাজনৈতিক সমাজের পক্ষ থেকেও। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সমাজ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত ‘রাশিয়া ইউক্রেন যুক্ত পথের শেষ কোথায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রবন্ধে উপস্থাপকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিআইডিএস মহাপরিচালক বলেন, একটি ‘মাল্টিপোলার’ বিশ্বের নীরব আত্মপ্রকাশ ঘটছে আমাদের চোখের সামনেই। আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের যেভাবে আশু সমাপ্তি চাই, তেমনিই আমাদের এই মাল্টিপোলার বিশ্বের নির্মাণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করতে হবে। পাশ্চাত্য-কেন্দ্রিক বিশ্ব বহু আগে থেকে আমাদের শাসন করে চলেছে। রাজনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ এখন অর্থনৈতিক সম্পর্কের নির্ধারক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ চাপটা এখন বড় বেশি নগ্ন। এ অবস্থার নিরসন বা অবসান হওয়া দরকার ।

বিনায়ক সেন বলেন, ইউরোপের যুদ্ধ ইউরোপে ঘটছে কারা এতে জয়ী হলো বা পরাজিত হলো – তাতে এক অর্থে আমাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমরা এরকম অবস্থানে যেতে পারছি না তার প্রধান কারণ পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ। এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপরে আরোপ হয়েছে বটে, কিন্তু পরোক্ষ ভাবে এর ভুক্তভোগী আমরা সবাই। বিশেষত বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যাদের বড় ধরনের দর কষাকষির শক্তি নেই। তারা বড় উভয় সংকটে আছে।

তিনি আরও বলেন, অকার্যকর এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য তৃতীয় বিশ্বের উচিৎ পাশ্চাত্যকে তিরস্কার করা। নিষেধাজ্ঞা যার জন্য তার ক্ষতি না করে সেটা যদি গরীব ও দুর্বল দেশসমূহকে অধিক হারে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাহলে সে নিষেধাজ্ঞাকে তিরস্কার করার নৈতিক অধিকার তৃতীয় বিশ্বের রয়েছে বৈকি।

আলোচনা সভায় অংশ নেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, অধ্যাপক দিলীপ নাথ, প্রকৌশলী ড. আবুল কাশেম প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

ব্যবসায়ীদের উচিত পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে প্রতিবাদ জানানো

আপডেট সময় ০৬:৫৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর দেওয়া পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব থেকে সহসা আমাদের মুক্তি নেই, অন্তত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। কিন্তু সামাজিক পর্যায়ে এই অবস্থা নিরসনের জন্য জোরালো অবস্থান তুলে ধরা দরকার।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের উচিত হবে পাশ্চাত্যের সব রাষ্ট্রদূতকে নিমন্ত্রণ করে প্রতিবাদ জানানো, দেশের জনগণ কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা জানানো। প্রতিবাদ ওঠা উচিত বৃহত্তর সিভিল ও রাজনৈতিক সমাজের পক্ষ থেকেও। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সমাজ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত ‘রাশিয়া ইউক্রেন যুক্ত পথের শেষ কোথায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রবন্ধে উপস্থাপকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিআইডিএস মহাপরিচালক বলেন, একটি ‘মাল্টিপোলার’ বিশ্বের নীরব আত্মপ্রকাশ ঘটছে আমাদের চোখের সামনেই। আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের যেভাবে আশু সমাপ্তি চাই, তেমনিই আমাদের এই মাল্টিপোলার বিশ্বের নির্মাণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করতে হবে। পাশ্চাত্য-কেন্দ্রিক বিশ্ব বহু আগে থেকে আমাদের শাসন করে চলেছে। রাজনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ এখন অর্থনৈতিক সম্পর্কের নির্ধারক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ চাপটা এখন বড় বেশি নগ্ন। এ অবস্থার নিরসন বা অবসান হওয়া দরকার ।

বিনায়ক সেন বলেন, ইউরোপের যুদ্ধ ইউরোপে ঘটছে কারা এতে জয়ী হলো বা পরাজিত হলো – তাতে এক অর্থে আমাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমরা এরকম অবস্থানে যেতে পারছি না তার প্রধান কারণ পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ। এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপরে আরোপ হয়েছে বটে, কিন্তু পরোক্ষ ভাবে এর ভুক্তভোগী আমরা সবাই। বিশেষত বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যাদের বড় ধরনের দর কষাকষির শক্তি নেই। তারা বড় উভয় সংকটে আছে।

তিনি আরও বলেন, অকার্যকর এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য তৃতীয় বিশ্বের উচিৎ পাশ্চাত্যকে তিরস্কার করা। নিষেধাজ্ঞা যার জন্য তার ক্ষতি না করে সেটা যদি গরীব ও দুর্বল দেশসমূহকে অধিক হারে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাহলে সে নিষেধাজ্ঞাকে তিরস্কার করার নৈতিক অধিকার তৃতীয় বিশ্বের রয়েছে বৈকি।

আলোচনা সভায় অংশ নেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, অধ্যাপক দিলীপ নাথ, প্রকৌশলী ড. আবুল কাশেম প্রমুখ।