ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার পৌর নির্বাচন: স্মরণীয় ভোটে মেয়র হলেন আ’লীগের মাহাবুব

কোন প্রকার অভিযোগ, উত্তেজনা, অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮ টা থেকে টানা ৪ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। আর সেই ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।

কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডের ৪৩ টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৮১৮ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী নারকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৭৪ ভোট। ফলে ৪ হাজার ২৪৪ ভোট ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।

ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ সুভাষ হলের নির্বাচন সমন্বয় কেন্দ্রে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফলকে জনতার বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সাধারণ ভোটাররা আন্তরিকভাবে নৌকা প্রতীক ও আমাকে ভালোবেসে নির্বাচিত করেছেন। আমি জনতা সহ সকল স্তরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ।

নারকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই সঙ্গে ঘোষিত ফলাফলে সংরক্ষিত ৪ টি নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন, ১,২, ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শাহেনা আকতার, ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইয়াসমিন আকতার, ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাহেদা আকতার ও ১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নাছিমা আকতার বকুল। এরা ৪ জনই বর্তমান নারী কাউন্সিলর।

১২ টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের আকতার কামাল, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনুল ইসলাম মুকুল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এহসান হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাব উদ্দিন সিকদার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর সিদ্দিক লালু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমান সরওয়ার টিপু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবিহারী দাশ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাল উদ্দিন কবির, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন সেতু, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ মাঝু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এমএ মঞ্জুর।

এর মধ্যে ৩ নম্বর, ৪ নম্বর, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিতরা ছাড়া নতুন।

সোমবার সকাল ৮ টায় থেকে শুরু হওয়া কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ চলে ৪ টা পর্যন্ত। যে ভোটে কোন প্রার্থী, এজেন্স বা ভোটারদের অভিযোগ ছিল না। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করছে ভোটার আর ভোট দিয়ে ফিরে গেছে ঘরে। ভোটার গ্রহণের নিয়োজিত কর্মকর্তাদেরও ছিল না মাথা ব্যাথা। কোন প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালেট ছিনিয়ে সিল মারার আতংকও ছিল না।

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডের ৪৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭ টি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটার সারিবদ্ধ হয়ে একে একে কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন আর ভোট প্রদান শেষে কেন্দ্রে ত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন। যারা ভোট প্রদান করেছেন তাদের কেন্দ্রে থাকা পুলিশ-ম্যাজিষ্ট্রেটরা কেন্দ্রে থেকে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন।

বাহারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯ টায় ভোট দেন মোহাম্মদ জুনাইদ। তিনি বলেন, ভোট গ্রহণ অত্যন্ত ধীরগতি। তবে ভোট প্রদানে কোন প্রকাশ অসুবিধা হচ্ছে না।

সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ভোটার ১১৩৭। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বেলা ১২ টার দিকে জানিয়েছেন, তিন ঘন্টায় ১৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। ভোটারদের আঙ্গুলের চাপ, প্রক্রিয়ার জন্য একটু ধীরগতি হলেও তা দ্রুত করার চেষ্টা করছেন তারা।

আল মোস্তফা নুরীয়া মাদ্রাসার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন দুপুর ১ টায় জানিয়েছেন, নারীদের আঙ্গুলের চাপে সমস্যা হচ্ছে। এতে ভোট গ্রহণে ধীরগতি হলেও ৫ ঘন্টা ভোট কাস্টিং ৪৫ শতাংশ হয়েছে।

১ নং ওয়ার্ডের ইসলামী রিসার্চ সেন্টার কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ৭৭২ ভোট। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কাজি কাসেম বলেন, প্রথম সাড়ে ৩ ঘন্টায় ২০ শতাংশ ভোট নেওয়া হলেও দুপুরে ২ টায় এসে তা ৫০ শতাংশের কাছা-কাছি দাঁড়িয়েছে। তার কেন্দ্রে ২ টা পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি ভোট কাস্টিং হয়েছে।

বিকাল ৩ টায় কস্তুরাঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোট ৫০ শতাংশ। এখনও ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন।

এসব ভোটার ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা বলছেন, এটা চিন্তাহীন ভোটদের আয়োজন। এখানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভোট গ্রহণ চলছে।

এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৫ ম্যাজিস্ট্রেট, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১২টি র‌্যাব টিম ও ১২০০ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। আর ৪৩টি কেন্দ্রে ২৪৫টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল থেকে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হয়নি কোন অপ্রীতিকর ঘটনাও। ৪ টায় ভোট গ্রহণ শেষ হলেও কেন্দ্রে থাকলে অবশ্যই ভোট নেয়া হবে। এরপর ভোট গণনা শুরু হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও গোলযোগের খবর নেই। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৯৫ হাজার ৩৮৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫০ হাজার ১৮৪ জন ও নারী ভোটার ৪৫ হাজার ২০২ জন।

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মূল লড়াই রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী (নৌকা)  ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ (নারকেল গাছ)।

মাঠে অন্য তিন মেয়র প্রার্থী হলেন,  জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট), জোসনা হক (মোবাইল ফোন ) ও মো. জাহেদুর রহমান (হাতপাখা)। জোসনা হক নারিকেল প্রতীক মাসেদুল হক রাসেদের স্ত্রী।

এছাড়া ১২ টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৪ টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার পৌর নির্বাচন: স্মরণীয় ভোটে মেয়র হলেন আ’লীগের মাহাবুব

আপডেট সময় ১২:০৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

কোন প্রকার অভিযোগ, উত্তেজনা, অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮ টা থেকে টানা ৪ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। আর সেই ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।

কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডের ৪৩ টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৮১৮ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী নারকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৭৪ ভোট। ফলে ৪ হাজার ২৪৪ ভোট ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।

ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ সুভাষ হলের নির্বাচন সমন্বয় কেন্দ্রে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফলকে জনতার বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সাধারণ ভোটাররা আন্তরিকভাবে নৌকা প্রতীক ও আমাকে ভালোবেসে নির্বাচিত করেছেন। আমি জনতা সহ সকল স্তরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ।

নারকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই সঙ্গে ঘোষিত ফলাফলে সংরক্ষিত ৪ টি নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন, ১,২, ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শাহেনা আকতার, ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইয়াসমিন আকতার, ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাহেদা আকতার ও ১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নাছিমা আকতার বকুল। এরা ৪ জনই বর্তমান নারী কাউন্সিলর।

১২ টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের আকতার কামাল, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনুল ইসলাম মুকুল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এহসান হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাব উদ্দিন সিকদার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর সিদ্দিক লালু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমান সরওয়ার টিপু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবিহারী দাশ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাল উদ্দিন কবির, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন সেতু, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ মাঝু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এমএ মঞ্জুর।

এর মধ্যে ৩ নম্বর, ৪ নম্বর, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিতরা ছাড়া নতুন।

সোমবার সকাল ৮ টায় থেকে শুরু হওয়া কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ চলে ৪ টা পর্যন্ত। যে ভোটে কোন প্রার্থী, এজেন্স বা ভোটারদের অভিযোগ ছিল না। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করছে ভোটার আর ভোট দিয়ে ফিরে গেছে ঘরে। ভোটার গ্রহণের নিয়োজিত কর্মকর্তাদেরও ছিল না মাথা ব্যাথা। কোন প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালেট ছিনিয়ে সিল মারার আতংকও ছিল না।

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডের ৪৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭ টি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটার সারিবদ্ধ হয়ে একে একে কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন আর ভোট প্রদান শেষে কেন্দ্রে ত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন। যারা ভোট প্রদান করেছেন তাদের কেন্দ্রে থাকা পুলিশ-ম্যাজিষ্ট্রেটরা কেন্দ্রে থেকে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন।

বাহারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯ টায় ভোট দেন মোহাম্মদ জুনাইদ। তিনি বলেন, ভোট গ্রহণ অত্যন্ত ধীরগতি। তবে ভোট প্রদানে কোন প্রকাশ অসুবিধা হচ্ছে না।

সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ভোটার ১১৩৭। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বেলা ১২ টার দিকে জানিয়েছেন, তিন ঘন্টায় ১৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। ভোটারদের আঙ্গুলের চাপ, প্রক্রিয়ার জন্য একটু ধীরগতি হলেও তা দ্রুত করার চেষ্টা করছেন তারা।

আল মোস্তফা নুরীয়া মাদ্রাসার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন দুপুর ১ টায় জানিয়েছেন, নারীদের আঙ্গুলের চাপে সমস্যা হচ্ছে। এতে ভোট গ্রহণে ধীরগতি হলেও ৫ ঘন্টা ভোট কাস্টিং ৪৫ শতাংশ হয়েছে।

১ নং ওয়ার্ডের ইসলামী রিসার্চ সেন্টার কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ৭৭২ ভোট। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কাজি কাসেম বলেন, প্রথম সাড়ে ৩ ঘন্টায় ২০ শতাংশ ভোট নেওয়া হলেও দুপুরে ২ টায় এসে তা ৫০ শতাংশের কাছা-কাছি দাঁড়িয়েছে। তার কেন্দ্রে ২ টা পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি ভোট কাস্টিং হয়েছে।

বিকাল ৩ টায় কস্তুরাঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোট ৫০ শতাংশ। এখনও ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন।

এসব ভোটার ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা বলছেন, এটা চিন্তাহীন ভোটদের আয়োজন। এখানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভোট গ্রহণ চলছে।

এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৫ ম্যাজিস্ট্রেট, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১২টি র‌্যাব টিম ও ১২০০ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। আর ৪৩টি কেন্দ্রে ২৪৫টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল থেকে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হয়নি কোন অপ্রীতিকর ঘটনাও। ৪ টায় ভোট গ্রহণ শেষ হলেও কেন্দ্রে থাকলে অবশ্যই ভোট নেয়া হবে। এরপর ভোট গণনা শুরু হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও গোলযোগের খবর নেই। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৯৫ হাজার ৩৮৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫০ হাজার ১৮৪ জন ও নারী ভোটার ৪৫ হাজার ২০২ জন।

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মূল লড়াই রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী (নৌকা)  ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ (নারকেল গাছ)।

মাঠে অন্য তিন মেয়র প্রার্থী হলেন,  জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট), জোসনা হক (মোবাইল ফোন ) ও মো. জাহেদুর রহমান (হাতপাখা)। জোসনা হক নারিকেল প্রতীক মাসেদুল হক রাসেদের স্ত্রী।

এছাড়া ১২ টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৪ টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন।