ভোলার-বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্য পূর্ব বাটামারা আহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মহিউদ্দিন মেম্বারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পক্ষিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সেলিম।
গত (২৮ সেপ্টেম্বর) ২০২৪ তারিখ শনিবার মাগরিবের নামাজ শেষে বোরহানগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মহিউদ্দিন মেম্বার অভিযোগ করে বলেন- গত ২৮ তারিখ শনিবার আসর বাদ পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি মিটিং ছিলো, মিটিং শেষ না হতেই, মাগরিবের আজান দেন, আমি ও কালাম মেম্বার নামাজ পড়তে বেড় হই, বোরহানগঞ্জ বাজারের আগের পুরাতন পরিষদের পাশে মসজিদে নামাজ পড়তে ঢুকি, নামাজ শেষ করে বাহিরে বেড় হবো, ঠিক সেই মূহুর্তে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী এসে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে, পরে আমার ডাক চিৎকার শুনে মসজিদে থাকা মুসল্লীরা আমাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে করীমের ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। তাদের ভয়ে সেইখানে থেকে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে চলে আসি। ঘটনার সময় আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়, রাতে আমার পুরো শরীর ও মাথায়,ব্যাথার অনুভব হলে পরের দিন সকালে ভোলা গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেই।
পরে হামলার বিষয়টি ভোলা ২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম শুনতে পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ঘটনার দিন আমার নিয়ে যাওয়া মোবাইলটি হাফিজ ইব্রাহিমের হস্তক্ষেপে ঘটনার দিন রাত ১০ টা বাজে আমার বাসায় পৌছে দেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে আমার বাবার কাছে কল দিয়ে আমার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। এছাড়াও পক্ষিয়া ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সেলিম আমার বাসায় কল করে খোঁজ খবর নেন। এবং শান্তনা দেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ইনচার্জ ওসি মো.সিদ্দিকুর রহমান জানান-থানায় এমন ঘটনার কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ ফেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।