আজ স্বাধীনতার ৫২ বৎসর এখনো যদি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্হ্যসেবা দিতে আমাদের হাসপাতাল গুলি ব্যার্থ হয় তাহলে এর দায় রাষ্ট্র পরিচালকরা কোন ভাবে এড়াতে পারেন না। আমরা নাগরিকরা চাই এ সকল হাসপাতাল গুলির তত্বাবদায়ক বা পরিচালকরা যারা আছেন আপনারাতো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আপনাদের বেতন-ভাতা যে সকল মানুষের ট্যাক্স-ভ্যাট এর মাধ্যমে পরিশোধিত হয় সেই সকল বঞ্চিত মানুষই আসে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে তারা কি একটু ভালো সার্ভিস আপনাদের কাছ থেকে আশা করতে পারেনা? আপনারা যে পেশায় আছেন সে বিভাগে মানুষ মস্তি করার জন্য আসেনা! মনে রাখতে হবে আপনাদের কাছে আসেন নিম্ন আয়ের মানুষ এবং যখন আর পারছেন না তখনই সরকারী হাসপাতালে দুঃস্ত অসহায় মানুষ আসেন সামান্য সেরেউটার আশায়।
মানবিক এ পেশায় যারা কর্মরত আছেন আপনারা কিন্তু লেখা-পড়া করেছেন সরকারী হাসপাতালে বিনা খরছে, আপনাদের মেডিকেলে লেখা-পড়ার খরছ সরকার জনগনের টাকায় পরিশোধ করেছেন। মেডিকেল কলেজ এর শিক্ষকদের লম্বা বেতন-ভাতা/বোনাস সবই জনগনের টাকায় তাদের মাহিনা শোধ করেছে সরকার। এবার বলতে চাই ফ্রি লেখা-পড়া করে কেনো এতো বাহাদূরী? কেনো এতো অবহেলা? কেনো রাষ্ট্রের মালিক সাধারন জনগনের চিকিৎসা খাতে গাফিলতি? দেশের বয়স আর কত হলে আমাদের মানবিকতা জাগ্রত হবে? কেনো জনগনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে ব্যার্থ করা হচ্ছে? হ্যা জনপ্রতিনিধিরা যদি এসকল সেক্টরে তদারকি বাড়াতেন তাহলে হয়তো একটু কার্যকর সার্ভিস হতো।
বাহুবল হাসপাতালে বিভিন্ন সময় অসংখ্য অনিয়ম দূর্নীতি প্রকাশ পেয়েছে যা কোন ভাবে কাম্য ছিলোনা, এখনো অনেক সময় ডাক্তার সময়মতো আসেন না বা আসলেও খুব অল্প সময়ে উধাও হয়ে যান। সরকারী হাসপাতালে কেবিনের জন্য টাকা নেয়া হয় এমনকি ওয়ার্ডের সিট ভাড়াও নেয়া হচ্ছে এই যদি হয় সরকারী হাসপাতালে, তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষ ঔষধ কিনে খাবে? না ভাড়া দিয়ে আসবে, তার উপর আবার সিট ভাড়ার চাপ সইতে হয়। যদি টাকা না থাকে তাহলে মেজেতে পড়ে থেকে মানবেতর পরিবেশে নিতে হয় চিকিৎসা! যেখানে আসলো সুস্হ হতে সেখানে নতুন অসুস্হতাই সৃষ্টি কি চিকিৎসা সেবা? আমাদের দূর্ভাগ্য হাসপাতালে যে পরিমান অর্থ খরছ হয় সরকার থেকে তাদিয়ে উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা অনায়াসেই হওয়ার কথা কিন্তু চোরে কি শোনে ধর্মের কাহিনী।
দীর্ঘদিনের দাবি বাহুবলে একটি হাসপাতালে কোন প্রকার জটিল রুগীকে চিকিৎসা দিতে তারা নারাজ বিভিন্ন খোড়া যুক্তি দিয়ে সিলেট কিংবা ঢাকা যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে দায় এড়িয়ে যান। যে বিষয়ের ডাক্তার আছেন সে বিষয়েরও চিকিৎসা হাসপাতালে না করে অধিকাংশ সময় রুগীকে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তির পরামর্শ দেন, অধিক মুনাফার আশায় ডাক্তাররা বর্তমান সমাজে সুদখোরদের মতো টাকার পিছনে দৌড়াচ্ছেন। বাহুবল হাসপাতালের প্রত্যেক ডাক্তারই নিজের ডিউটি ভালো ভাবে না করলেও প্রাইভেট চেম্বারে খুব প্রফেশনাল আর স্মার্ট হয়ে রুগী দেখেন। বর্তমান সময়ে সারা দেশের ন্যায় বাহুবলের ডাক্তারদেরও ভিজিট আকাশচুম্বি, মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত আর দরিদ্রদের নাগালের বাহিরে এসকল ভিজিট, অন্যদিকে টেষ্ট বানিজ্যের কাহিনী নিত্যনতুন কৌশলে বেড়েই চলছে। বণিক সমিতির মতো আজকাল ডাক্তার সমিতি গড়ে উঠেছে।