ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
রামগঞ্জে প্রকৌশলী-শিক্ষিকার পরকিয়ার সম্পর্ক ফাঁস! শালিস বৈঠকে সমঝোতার চেষ্টা

ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর-কর্মস্থল ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী

লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাওয়ালীডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাছরিন আক্তার ও উপজেলা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানার পরকিয়ার জের ধরে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে রুদ্ধতাার শালিসি বৈঠক করেছে উপজেলা প্রশাসন।

২১ অক্টোবর শুক্রবার ঘটনাটি উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৮অক্টোবর) বিকেলে ৩ ঘন্টা ব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে কোন সিন্ধান্ত ছাড়াই সমাপ্ত হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই জানিয়েছেন।

শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলীপ দে, ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্ছু, চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম সুমন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর ও সাধারন সম্পাদক আফরোজা আক্তার প্রমূখ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর ও সাধারন সম্পাদক আফরোজা আক্তার সহ শিক্ষকরা ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান দাবী করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানা এবং প্রবাসীর স্ত্রী ২সন্তানের জননী ও সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন আক্তারের সাথে দীর্ঘ ৪ বছর যাবত পরকীয়ার জের ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছে। শিক্ষিকা বার বার বিয়ের দাবী করে আসছে কিন্তু জুয়েল রানা বিয়ে না করে সময় পার করায় দুই জনের মধ্যে বাধেঁ বিপত্তি। এ নিয়ে শিক্ষিকা প্রায় ২বছর আগে থানায় অভিযোগ করলেও এর কোন সুরাহা না করে জুয়েল রানা তড়িগড়ি করে অন্যত্রে বিয়ে করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেন। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মীমাংসা করতে না পেরে স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে সময় দিয়ে উভয়কে ছেড়ে দেয়।

উপজেলা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানার বাড়ি ঢাকা গাজীপুর সদর উপজেলায় বলে জানা গেছে। এদিকে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে সালিশী বৈঠকের পর থেকে মোবাইল বন্ধ করে (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

কাওয়ালীডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার জানান, এবিষয়ে কারো সাথে আমার কথা বলা নিষেধ আছে। আমি কারো সাথে কোন কথা বলবো না। আপনারা এখান থেকে বের হয়ে যান। অভিযুক্ত উপজেলা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানার মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পেয়ে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক অফরোজা আক্তার জানান, বৈঠকে আমরা উপস্থিত ছিলাম, তবে বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। এব্যাপারে আমরা সুষ্ঠ সমাধান দাবী করছি। ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম সুমন বলেন, বৈঠক কোন সমাধান হয়নি, তাই স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে সময় দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দিলীপ দে বলেন, বৈঠক শেষে আমি ঢাকায় চলে আসছি। স্বাক্ষাতে বিস্তারিত কথা বলবো। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্ছু বলেন, বিষয়টি জটিল। তাই বৈঠকে সবার সিদ্ধান্তক্রমে ২জনকেই সময় দিয়ে শেষ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, এ বিষয়টি মীমাংসা করা চেষ্টা চলছে। না লিখে অপেক্ষা করুন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

রামগঞ্জে প্রকৌশলী-শিক্ষিকার পরকিয়ার সম্পর্ক ফাঁস! শালিস বৈঠকে সমঝোতার চেষ্টা

ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর-কর্মস্থল ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী

আপডেট সময় ০৮:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাওয়ালীডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাছরিন আক্তার ও উপজেলা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানার পরকিয়ার জের ধরে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে রুদ্ধতাার শালিসি বৈঠক করেছে উপজেলা প্রশাসন।

২১ অক্টোবর শুক্রবার ঘটনাটি উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৮অক্টোবর) বিকেলে ৩ ঘন্টা ব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে কোন সিন্ধান্ত ছাড়াই সমাপ্ত হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই জানিয়েছেন।

শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলীপ দে, ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্ছু, চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম সুমন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর ও সাধারন সম্পাদক আফরোজা আক্তার প্রমূখ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর ও সাধারন সম্পাদক আফরোজা আক্তার সহ শিক্ষকরা ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান দাবী করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানা এবং প্রবাসীর স্ত্রী ২সন্তানের জননী ও সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন আক্তারের সাথে দীর্ঘ ৪ বছর যাবত পরকীয়ার জের ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছে। শিক্ষিকা বার বার বিয়ের দাবী করে আসছে কিন্তু জুয়েল রানা বিয়ে না করে সময় পার করায় দুই জনের মধ্যে বাধেঁ বিপত্তি। এ নিয়ে শিক্ষিকা প্রায় ২বছর আগে থানায় অভিযোগ করলেও এর কোন সুরাহা না করে জুয়েল রানা তড়িগড়ি করে অন্যত্রে বিয়ে করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেন। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মীমাংসা করতে না পেরে স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে সময় দিয়ে উভয়কে ছেড়ে দেয়।

উপজেলা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানার বাড়ি ঢাকা গাজীপুর সদর উপজেলায় বলে জানা গেছে। এদিকে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে সালিশী বৈঠকের পর থেকে মোবাইল বন্ধ করে (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

কাওয়ালীডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার জানান, এবিষয়ে কারো সাথে আমার কথা বলা নিষেধ আছে। আমি কারো সাথে কোন কথা বলবো না। আপনারা এখান থেকে বের হয়ে যান। অভিযুক্ত উপজেলা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানার মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পেয়ে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক অফরোজা আক্তার জানান, বৈঠকে আমরা উপস্থিত ছিলাম, তবে বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। এব্যাপারে আমরা সুষ্ঠ সমাধান দাবী করছি। ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম সুমন বলেন, বৈঠক কোন সমাধান হয়নি, তাই স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে সময় দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দিলীপ দে বলেন, বৈঠক শেষে আমি ঢাকায় চলে আসছি। স্বাক্ষাতে বিস্তারিত কথা বলবো। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্ছু বলেন, বিষয়টি জটিল। তাই বৈঠকে সবার সিদ্ধান্তক্রমে ২জনকেই সময় দিয়ে শেষ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, এ বিষয়টি মীমাংসা করা চেষ্টা চলছে। না লিখে অপেক্ষা করুন।