পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার চর গরবদী গ্রামের মোঃ মজিবর মুন্সির ছেলে জাকারিয়া এবং মুরাদিয়া গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন এর মেয়ে জুঁই গত এক বছর দুই মাস আগে… জাকারিয়া ও জুঁই একে অপরকে ভালবেসে তারা আত্ন গোপনে যাওয়ার, আনুমানিক তিন মাস আগে, তারা ঢাকায় গিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারিজ করে বিবাহ কাজ সম্পন্ন করে। এরপরে উক্ত বিষয় গুলো জেনেও জুই এর মা বাবা মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার এবং উক্ত পরিষদের মহিলা মেম্বার মোসাঃ নাসিমা বেগম সহ স্থানীয় কতিপয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের মাধ্যমে জুঁইকে তাদের মা বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
তার পরে তারা তাদের মেয়ে জুঁইকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় দুমকি থানায় নিয়ে গিয়ে মামলা দায়ের করে। পরে ঐ মামলায় মজিবরের ছেলে জাকারিয়া আত্ন সমার্পন করে, এরপর সে ছিয়াত্তর দিন জেল খাটার পরে জামিনে আসে, জামিনে আসার পরেই মেয়ে মোসাঃ জুঁই পূনরায় জাকারিয়ার সাথে আত্ন গোপন করে। পরে জুঁইয়ের গর্ভে জাকারিয়ার সন্তান আসে,এর প্রেক্ষিতে জুঁইয়ের মা বাদী হয়ে পূনরায় জাকারিয়ার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী বিজ্ঞ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে।
তাদের দায়েরকৃত দ্বিতীয় মামলায় জাকারিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। জাকারিয়া গত ঈদুল ফিতর এর সময় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে আসায় পুলিশ গত ১০/৫/২০২৩ ইং তারিখ জাকারিয়াকে গ্রেফতার করে, তার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার গর্ভবতী স্ত্রী জুঁইকে জনৈক থানার পুলিশ ও তার খালাতো ভাই মো: হাসিব, পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম, গ্রামঃ সস্তোষদি, ওয়ার্ড নং ০৯ মুরাদিয়া,দুমকি,পটুয়াখালী- এর টানা হেচড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তাৎক্ষণিক তাকে একটি প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ডাক্তার জানায় তাকে দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে, জুঁইকে অপারেশন করলে তার গর্ভে ছেলে সন্তান হয়, সন্তান ভীষন অসুস্থ হয়ে পরলে, তখন তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের নিভির পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয় ।সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন, পরে সেখানে জুঁইয়ের বাচ্চাকে ভর্তি করানো হয় এবং ঐ দিনই রাত আনুমানিক ২ঃ৪৫ মিনিটের সময় জুঁইয়ের বাচ্চা ইন্তেকাল করে।
এদিকে ছেলে ও পুএবধু এবং নাতির শোক সইতে না পেরে গত ২৫/৫/২০২৩ ইং তারিখ অপহরণ মামলায় ছেলে ও অন্তসত্ত্বা পুত্রবধুকে তুলে নেয়ার ৪৮ঘন্টা ব্যবধানে মা হনুফা বেগম (৪৫) কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চর গরবদী গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া চর গরবদী গ্রামের মজিবর মুন্সী ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে জাকারিয়া মুন্সী এবং একই এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন ও ইসরাত জাহান লুৎফা বেগম দম্পতির কন্যা জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নিয়ে পালিয়ে ৩ মাস আত্ম গোপনে থেকে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক জাকির হোসেন, জাকারিয়া মুন্সীসহ তার পরিবার বর্গের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের সহ দফায় দফায় হামলা নির্যাতন চালায়।