ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

১০ কোটি করোনা টিকা ধ্বংস করল সেরাম

মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়ায় করোনা টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের ১০ কোটি ডোজ ধ্বংস করেছে এই টিকার প্রস্তুকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)।

শুক্রবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাষ্ট্র মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় অবস্থিত এসআইআইয়ের মূল কারখানায় এসব টিকা ধ্বংস করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃহস্পতিবার পুনেতে এসআইআই কার্যালয়ের সদর দপ্তরে উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর জোট ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ভ্যাক্সিন ম্যানুফ্যাকচারার্স নেটওয়ার্কের (ডিসিভিএমএন) বার্ষিক সাধারণ সভা চলছিল। চলতি বছর এই সভার আয়োজক ছিল এসআইআই। সেই সভার বিরতিতেই এনডিটিভিকে সাক্ষাৎকার দেন আদর পুনাওয়ালা।

ভারতের জনগণ করোনা সম্পর্কে ‘তিতিবিরক্ত’ হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে সাক্ষাৎকারে পুনাওয়ালা বলেন, ‘জনগণ করোনার ওপর এতটাই বিরক্ত হয়ে উঠেছে যে তারা আর বুস্টার ডোজও নিতে চাইছে না; এবং সত্যি কথা বলতে—আমি নিজেও (মহামারির ওপর) বিরক্ত। আমাদের সবার অবস্থা এখন একই।’

চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড উৎপাদন করা শুরু করে সেরাম। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় ভারতে। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ও ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন— এই দু’টি করোনা টিকাই মূলত ব্যবহার করা হয়েছে এ কর্মসূচিতে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের ৭০ শতাংশই করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।

বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে করোনা টিকার ভবিষ্যত নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন পুনাওয়ালা।

‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীতকালে জ্বরজারি ও সর্দিকাশি হয়। ইউরোপে এবারের শীতকালে লোকজন ঠাণ্ডাজনিত জ্বর ও সর্দিকাশি সম্পর্কিত ওষুধের সঙ্গে করোনা টিকার একটি ডোজও হয়তো নেবেন।’

‘কিন্তু ভারতের লোকজন ইউরোপের মতো নয়। সাধারণ ঠাণ্ডা, জ্বরজারিতে তারা সাধারণত ওষুধ সেবন করে না।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

১০ কোটি করোনা টিকা ধ্বংস করল সেরাম

আপডেট সময় ০৫:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়ায় করোনা টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের ১০ কোটি ডোজ ধ্বংস করেছে এই টিকার প্রস্তুকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)।

শুক্রবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাষ্ট্র মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় অবস্থিত এসআইআইয়ের মূল কারখানায় এসব টিকা ধ্বংস করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃহস্পতিবার পুনেতে এসআইআই কার্যালয়ের সদর দপ্তরে উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর জোট ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ভ্যাক্সিন ম্যানুফ্যাকচারার্স নেটওয়ার্কের (ডিসিভিএমএন) বার্ষিক সাধারণ সভা চলছিল। চলতি বছর এই সভার আয়োজক ছিল এসআইআই। সেই সভার বিরতিতেই এনডিটিভিকে সাক্ষাৎকার দেন আদর পুনাওয়ালা।

ভারতের জনগণ করোনা সম্পর্কে ‘তিতিবিরক্ত’ হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে সাক্ষাৎকারে পুনাওয়ালা বলেন, ‘জনগণ করোনার ওপর এতটাই বিরক্ত হয়ে উঠেছে যে তারা আর বুস্টার ডোজও নিতে চাইছে না; এবং সত্যি কথা বলতে—আমি নিজেও (মহামারির ওপর) বিরক্ত। আমাদের সবার অবস্থা এখন একই।’

চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড উৎপাদন করা শুরু করে সেরাম। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় ভারতে। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ও ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন— এই দু’টি করোনা টিকাই মূলত ব্যবহার করা হয়েছে এ কর্মসূচিতে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের ৭০ শতাংশই করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।

বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে করোনা টিকার ভবিষ্যত নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন পুনাওয়ালা।

‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীতকালে জ্বরজারি ও সর্দিকাশি হয়। ইউরোপে এবারের শীতকালে লোকজন ঠাণ্ডাজনিত জ্বর ও সর্দিকাশি সম্পর্কিত ওষুধের সঙ্গে করোনা টিকার একটি ডোজও হয়তো নেবেন।’

‘কিন্তু ভারতের লোকজন ইউরোপের মতো নয়। সাধারণ ঠাণ্ডা, জ্বরজারিতে তারা সাধারণত ওষুধ সেবন করে না।’