ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

চাঁদা না দেয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে সাবের বাহিনী

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পলাশ উপজেলার ডাংগা বাজারের এক সংখালঘু স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে, চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বাহিনীর সদস্যরা।

আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম জহর লাল নন্দী। তিনি একই উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার সুবাস নন্দীর ছেলে ও ডাংগা বাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ীয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

আহত জহর লাল নন্দী জানান, ডাংগা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী জহর লাল নন্দীর কাছে প্রায় সময়ই মোটা স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে টাকা ধার নিতেন ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাইের বিশ্বস্থ হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত রাজু ও জসিম। কিছু দিন পর এসে টাকা না দিয়ে বন্ধকী স্বর্ণ জোর পূর্বক নিয়ে যেতো। গত দুই তিন আগে রাজু আবারো আসেন স্বর্ণ বন্ধক রাখতে, এসময় জহর লাল নন্দী বন্ধক রাখতে অস্বীকার করেন। বন্ধক রেখে টাকা না দিলেও আমাকে চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে যান রাজু। এরই জের ধরে গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজু ও জসিম জহর লাল নন্দীর দোকানে এসে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। জহর নন্দী চাঁদা অস্বীকার করলে দেশীয় অস্ত্র রাম দা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।

এসময় দোকানে উপস্থিত ডালিম নামের একজন ক্রেতা সে বাধা দিতে গেলে তাকে ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে দোকান থেকে ২৫ থেকে ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ক্যাশ বা থেকে নগদ ৩ /৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান । তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত জহর লাল নন্দীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করেন।

এ ব্যাপারে আহত ক্রেতা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও গুরুতর আহত জহর লাল নন্দী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আইনগত ব্যবস্থার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

চেয়ারম্যান বাহিনির দুর্ধর্ষ হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত রাজু হাসনহাটা গ্রামের আক্তারের ছেলে ও জসিম একই এলাকার জামালউদ্দিন এর ছেলে । জসিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী।

স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান,চেয়ারম্যানের লোকজন মাঝে মাঝে এসে আমার কাছে চাদা দাবি করে আমি চাদা না দিলে তারা আমাকে মারধর করে। তারা অনেক ক্ষমতাশীল লোক তাদের ভয়ে এলাকার কোন কথা বলতে পারে।কথা বলতে গেলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।তাদের ভয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিতে পারছি না। তাই সরকারের কাছে কঠিন বিচার চাই।

এব্যাপারে নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বলেন,আমার লোক তার কাছে চাদা দাবি করে নাই। বরং তার কাছে আমার লোকের স্বর্ণ বন্ধক রাখা ছিল সে স্বর্ণ দিতে অস্বীকার করছে। এছাড়া আমার লোক তাদেরকে মারে নাই। তাকে যারা মেরেছে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন বলেন,স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনা ঘটনা শুনেছি। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

চাঁদা না দেয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে সাবের বাহিনী

আপডেট সময় ০১:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পলাশ উপজেলার ডাংগা বাজারের এক সংখালঘু স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে, চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বাহিনীর সদস্যরা।

আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম জহর লাল নন্দী। তিনি একই উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার সুবাস নন্দীর ছেলে ও ডাংগা বাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ীয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

আহত জহর লাল নন্দী জানান, ডাংগা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী জহর লাল নন্দীর কাছে প্রায় সময়ই মোটা স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে টাকা ধার নিতেন ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাইের বিশ্বস্থ হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত রাজু ও জসিম। কিছু দিন পর এসে টাকা না দিয়ে বন্ধকী স্বর্ণ জোর পূর্বক নিয়ে যেতো। গত দুই তিন আগে রাজু আবারো আসেন স্বর্ণ বন্ধক রাখতে, এসময় জহর লাল নন্দী বন্ধক রাখতে অস্বীকার করেন। বন্ধক রেখে টাকা না দিলেও আমাকে চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে যান রাজু। এরই জের ধরে গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজু ও জসিম জহর লাল নন্দীর দোকানে এসে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। জহর নন্দী চাঁদা অস্বীকার করলে দেশীয় অস্ত্র রাম দা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।

এসময় দোকানে উপস্থিত ডালিম নামের একজন ক্রেতা সে বাধা দিতে গেলে তাকে ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে দোকান থেকে ২৫ থেকে ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ক্যাশ বা থেকে নগদ ৩ /৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান । তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত জহর লাল নন্দীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করেন।

এ ব্যাপারে আহত ক্রেতা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও গুরুতর আহত জহর লাল নন্দী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আইনগত ব্যবস্থার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

চেয়ারম্যান বাহিনির দুর্ধর্ষ হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত রাজু হাসনহাটা গ্রামের আক্তারের ছেলে ও জসিম একই এলাকার জামালউদ্দিন এর ছেলে । জসিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী।

স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান,চেয়ারম্যানের লোকজন মাঝে মাঝে এসে আমার কাছে চাদা দাবি করে আমি চাদা না দিলে তারা আমাকে মারধর করে। তারা অনেক ক্ষমতাশীল লোক তাদের ভয়ে এলাকার কোন কথা বলতে পারে।কথা বলতে গেলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।তাদের ভয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিতে পারছি না। তাই সরকারের কাছে কঠিন বিচার চাই।

এব্যাপারে নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বলেন,আমার লোক তার কাছে চাদা দাবি করে নাই। বরং তার কাছে আমার লোকের স্বর্ণ বন্ধক রাখা ছিল সে স্বর্ণ দিতে অস্বীকার করছে। এছাড়া আমার লোক তাদেরকে মারে নাই। তাকে যারা মেরেছে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন বলেন,স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনা ঘটনা শুনেছি। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।