ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

স্কুল মাঠে সন্ধ্যার পর জুয়ার আসর বসে শুকুরের মাদক ব্যবসা

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় সাহারা গাছি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাঠে প্রতিরাতে চলে জুয়ার আড্ডা ও মাদকের রমরমা কারবারি।প্রকাশ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে এই স্কুলের মাঠে। খোজ নিয়ে জানা যায় শুকুর নামের একজন প্রভাবশালী মাদক ব্যাবসায়ী সাহারা গাছি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাঠে ফেন্সিডিল গাজা বিক্রয় ও প্রকাশ্যে জুয়ার বোড চালিয়ে আসছেন। শুকুরের সহযোগী, ইয়াকুব ও কালু যারা। সবাই অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী।

এই জুয়ার বোর্ড ওাদক ব্যাবসার কারনে অত্র এলাকায় ব্যপক প্রভাব পড়ছে, স্কল কলেজের কোমলমতি ছেলেরা ঝুকছে মাদকের দিকে, আর জুয়ায় আশক্ত হয়ে সব হারাচ্ছে আসপাশের কর্মজীবী মানুষেরা।

এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস করছে। এই মাদক ব্যাবসায়ী ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারীর মুলত প্রধান সিন্ডিকেট শুকুর, ইয়াকুব ও কালু। যানা যায় জুয়ার বোর্ডের মাহাজন ইয়াকুব এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। এদের সাথে শুকুরের ছেলে আলিম সব সময়ই এসব কাজে সহযোগী হিসাবে থাকে। মাদক ব্যাবসায়ী শুকুরের ছেলে আলিম অত্র এলাকার কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে, এবং সে একজান মাদকাসক্ত জুয়ারিদের সংঘবদ্ধ চক্র।

এই সকল অনিয়ম ও অপরাধের বিরুদ্ধে এলাকার কিছু মানুষ রুখে দাড়িয়েছিলো। গোদাগাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ কামরুলের নির্দেশে অভিযান পরিচালিত হয়।, এই জুয়ার বোর্ডে নগদ টাকা ও মাদক সহ গ্রেফতার হয় বেশ কয়েক জন। কিন্তু অভিযানের পরদিনই এলাকার শিমুল ইসলামকে ধরে হত্যার উদ্দেশ্য ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বেধড়ক মারধর করেন।

গোদাগাড়ী উপজেলার আতঙ্কের নাম শুকুর, ইয়াকুব, কালু ও তাদের সহযোগীরা। যাদের ভয়ে কেউই মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ মুখ খুল্লেই তাকে তুলে এনে নির্যাতন করা হয়।।

স্থানীয় জনগণের দাবি, অনতিবিলম্বে এই মাদক ব্যাবসায়ী শুকুর, কালু ও জুয়ার বোর্ডের মাহাজন ইয়াকুবকে গ্রেফতার করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হোক।

রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় জনগণ, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবার অনুরোধ করেছেন তারা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

স্কুল মাঠে সন্ধ্যার পর জুয়ার আসর বসে শুকুরের মাদক ব্যবসা

আপডেট সময় ০৬:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় সাহারা গাছি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাঠে প্রতিরাতে চলে জুয়ার আড্ডা ও মাদকের রমরমা কারবারি।প্রকাশ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে এই স্কুলের মাঠে। খোজ নিয়ে জানা যায় শুকুর নামের একজন প্রভাবশালী মাদক ব্যাবসায়ী সাহারা গাছি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাঠে ফেন্সিডিল গাজা বিক্রয় ও প্রকাশ্যে জুয়ার বোড চালিয়ে আসছেন। শুকুরের সহযোগী, ইয়াকুব ও কালু যারা। সবাই অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী।

এই জুয়ার বোর্ড ওাদক ব্যাবসার কারনে অত্র এলাকায় ব্যপক প্রভাব পড়ছে, স্কল কলেজের কোমলমতি ছেলেরা ঝুকছে মাদকের দিকে, আর জুয়ায় আশক্ত হয়ে সব হারাচ্ছে আসপাশের কর্মজীবী মানুষেরা।

এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস করছে। এই মাদক ব্যাবসায়ী ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারীর মুলত প্রধান সিন্ডিকেট শুকুর, ইয়াকুব ও কালু। যানা যায় জুয়ার বোর্ডের মাহাজন ইয়াকুব এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। এদের সাথে শুকুরের ছেলে আলিম সব সময়ই এসব কাজে সহযোগী হিসাবে থাকে। মাদক ব্যাবসায়ী শুকুরের ছেলে আলিম অত্র এলাকার কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে, এবং সে একজান মাদকাসক্ত জুয়ারিদের সংঘবদ্ধ চক্র।

এই সকল অনিয়ম ও অপরাধের বিরুদ্ধে এলাকার কিছু মানুষ রুখে দাড়িয়েছিলো। গোদাগাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ কামরুলের নির্দেশে অভিযান পরিচালিত হয়।, এই জুয়ার বোর্ডে নগদ টাকা ও মাদক সহ গ্রেফতার হয় বেশ কয়েক জন। কিন্তু অভিযানের পরদিনই এলাকার শিমুল ইসলামকে ধরে হত্যার উদ্দেশ্য ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বেধড়ক মারধর করেন।

গোদাগাড়ী উপজেলার আতঙ্কের নাম শুকুর, ইয়াকুব, কালু ও তাদের সহযোগীরা। যাদের ভয়ে কেউই মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ মুখ খুল্লেই তাকে তুলে এনে নির্যাতন করা হয়।।

স্থানীয় জনগণের দাবি, অনতিবিলম্বে এই মাদক ব্যাবসায়ী শুকুর, কালু ও জুয়ার বোর্ডের মাহাজন ইয়াকুবকে গ্রেফতার করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হোক।

রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় জনগণ, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবার অনুরোধ করেছেন তারা।