ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল

রাজশাহীতে এজেন্ট ব্যাংকে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ

রাজশাহীতে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট খুলে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৮ জন তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণ-তরুণীরা শুক্রবার রাজশাহী একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভক্তভোগিরা বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিয়ে চাকুরী দেওয়ার নাম করে তালিকাভুক্ত ১৮ জন ও এর বাইরেও আরো অনেকে নগদ অর্থ প্রদান করে আমরা সকলেই প্রতারিত। প্রতারণার শিকআর হামিম ইসলাম নামের একজন বলেন তিনিসহ রাজশাহী জেলা এবং এর বাইরে আমাদের তালিকা অনুযায়ী ১৭ জনের কাছ থেকে ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা, সর্বমোট ৩৬ লক্ষ টাকার অধিক নগদ অর্থ প্রদান করে পরিবারের কাছে আমরা মুখ দেখাতে পারছিনা। ইতিমধ্যেই আমরা এ বিষয়ে রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সেলিম হোসেন সুমন, রহিম বাদশা ও শাহাবুদ্দিন কটু নামের ৩ ব্যক্তি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে এবং বিভিন্ন চেক প্রদান করে জামানত হিসেবে পূর্ব পরিকল্পনা করে প্রতারণা করে এবি ব্যাংক ও বিভিন্ন এজেন্ট ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের (১৮ জন তরুণ-তরুণীর) কাছ থেকে ৩৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে তাদের চাকুরী না হলে ভুক্তভোগী তরুণ-তরুণীরা টাকা ফেরত চাইলে রহিম বাদশা বলেন সব টাকা সেলিম হোসেন সুমনের কাছে আছে এবং সে ৮ মাস থেকে পলাতক আছে।
আরো জানা যায়, প্রতারণাকারী সবাই এবি এজেন্ট ব্যাংক ও ইসলামী সোশ্যাল ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংকের স্বত্ত¦াধিকারী পরিচয় দিয়ে জনবল নিয়োগের কথা বলে তাদের টাকাগুলো প্রতারণা করে আত্মসাৎ করে। এবং তাদের সবার কাছ থেকে জনতা ব্যাংকের তৃতীয় তলায় তাদের অফিস রুমে টাকাগুলো গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণ-তরুণীরা অভিযুক্ত প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

রাজশাহীতে এজেন্ট ব্যাংকে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
রাজশাহীতে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট খুলে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৮ জন তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণ-তরুণীরা শুক্রবার রাজশাহী একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভক্তভোগিরা বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিয়ে চাকুরী দেওয়ার নাম করে তালিকাভুক্ত ১৮ জন ও এর বাইরেও আরো অনেকে নগদ অর্থ প্রদান করে আমরা সকলেই প্রতারিত। প্রতারণার শিকআর হামিম ইসলাম নামের একজন বলেন তিনিসহ রাজশাহী জেলা এবং এর বাইরে আমাদের তালিকা অনুযায়ী ১৭ জনের কাছ থেকে ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা, সর্বমোট ৩৬ লক্ষ টাকার অধিক নগদ অর্থ প্রদান করে পরিবারের কাছে আমরা মুখ দেখাতে পারছিনা। ইতিমধ্যেই আমরা এ বিষয়ে রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সেলিম হোসেন সুমন, রহিম বাদশা ও শাহাবুদ্দিন কটু নামের ৩ ব্যক্তি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে এবং বিভিন্ন চেক প্রদান করে জামানত হিসেবে পূর্ব পরিকল্পনা করে প্রতারণা করে এবি ব্যাংক ও বিভিন্ন এজেন্ট ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের (১৮ জন তরুণ-তরুণীর) কাছ থেকে ৩৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে তাদের চাকুরী না হলে ভুক্তভোগী তরুণ-তরুণীরা টাকা ফেরত চাইলে রহিম বাদশা বলেন সব টাকা সেলিম হোসেন সুমনের কাছে আছে এবং সে ৮ মাস থেকে পলাতক আছে।
আরো জানা যায়, প্রতারণাকারী সবাই এবি এজেন্ট ব্যাংক ও ইসলামী সোশ্যাল ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংকের স্বত্ত¦াধিকারী পরিচয় দিয়ে জনবল নিয়োগের কথা বলে তাদের টাকাগুলো প্রতারণা করে আত্মসাৎ করে। এবং তাদের সবার কাছ থেকে জনতা ব্যাংকের তৃতীয় তলায় তাদের অফিস রুমে টাকাগুলো গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণ-তরুণীরা অভিযুক্ত প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।