ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল

টানা তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠেছে রাজশাহীর জনজীবন

অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ; টানা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে অঞ্চলের জনজীবন। এ অবস্থায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে অনেকটা। তাই ছেদ পড়েছে ঈদের কেনাকাটায়। বৃহস্পতিবার শহরবাসীর অবস্থায় বেশি বেগতিক।

অনেকেই বলছেন, আকাশ থেকে যেমন আগুন ঝরছে, গরমের তীব্রতা এমনই। তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত। বৃষ্টি-বাতাস না থাকার এ পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে বিদ্যুৎ গোলযোগও ব্যাপক। লোডশেডিং হচ্ছে অহরহ। শহরের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভাগকে দুষছেন ঠিকমতো ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই না দেওয়ার জন্য।

রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার শুক্রবার সহ গত চারদিন ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই আটকে আছে তাপমাত্রার পারদ। কার্যত মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে এ বিভাগে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন মিডিয়াকে তথ্য জানান তিনি আরও জানান, গত ৩ এপ্রিল রাজশাহী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৪ এপ্রিল ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এটিই এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অপর জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তাই গরমের তীব্রতা বেড়েছে। চলতি বছর মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ১১ মার্চ। ওই দিন মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তাই তাপপ্রবাহ দীর্ঘমেয়াদী রূপ নিয়েছে। সাধারণত তীব্র তাপপ্রবাহের মৌসুম হিসেবে ধরা হয় তবে মার্চ-এপ্রিলকে। সে না হলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন এ আবহাওয়া অধিদপ্তর এই কর্মকর্তা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

টানা তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠেছে রাজশাহীর জনজীবন

আপডেট সময় ০১:১১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ; টানা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে অঞ্চলের জনজীবন। এ অবস্থায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে অনেকটা। তাই ছেদ পড়েছে ঈদের কেনাকাটায়। বৃহস্পতিবার শহরবাসীর অবস্থায় বেশি বেগতিক।

অনেকেই বলছেন, আকাশ থেকে যেমন আগুন ঝরছে, গরমের তীব্রতা এমনই। তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত। বৃষ্টি-বাতাস না থাকার এ পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে বিদ্যুৎ গোলযোগও ব্যাপক। লোডশেডিং হচ্ছে অহরহ। শহরের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভাগকে দুষছেন ঠিকমতো ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই না দেওয়ার জন্য।

রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার শুক্রবার সহ গত চারদিন ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই আটকে আছে তাপমাত্রার পারদ। কার্যত মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে এ বিভাগে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন মিডিয়াকে তথ্য জানান তিনি আরও জানান, গত ৩ এপ্রিল রাজশাহী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৪ এপ্রিল ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এটিই এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অপর জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তাই গরমের তীব্রতা বেড়েছে। চলতি বছর মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ১১ মার্চ। ওই দিন মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তাই তাপপ্রবাহ দীর্ঘমেয়াদী রূপ নিয়েছে। সাধারণত তীব্র তাপপ্রবাহের মৌসুম হিসেবে ধরা হয় তবে মার্চ-এপ্রিলকে। সে না হলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন এ আবহাওয়া অধিদপ্তর এই কর্মকর্তা।