ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল কুমিল্লায় হাসপাতাল দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

বাঘায় চা ২ টাকা ও পান ৩ টাকায় বিক্রি করে চলে আলমাজের সংসার

রাজশাহীর বাঘায় চা ২ টাকা ও পান ৩ টাকায় বিক্রি করে চলে আলমাজ আলী প্রামানিকের ৪ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত তিনি আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর গোচর ওয়ার্ডের মোড়ে চা ও পানের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। আলমাজ আলী প্রামানিক গোচর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।

আড়ানী রুস্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকাররি শিক্ষক ও গোচর গ্রামের বাসিন্দা মজবুল হোসেন লাল্টু বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে অবিশ্বাস্য
হলেও সত্যি আলমাজ এখনো এক কাপ চা ২ টাকা এবং এক খিলি পান ৩ টাকায় বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে আলমাজ আলী জানান, ২০০০ সালে চা ও পান বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছি। ওই সময় ৫০ পয়সায় এক কাপ চা ও একই দামে পানের খিলি বিক্রি করতাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির হলে ১৯৯৫ সালে তা বাড়িয়ে চা ও পান ২ টাকায় বিক্রি করি। এভাবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলে। পরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
আরো বাড়ার কারনে ২০১৬ সাল থেকে চা ২ টাকা ও পানের খিলি ৩ টাকায় বিক্রি শুরু করেছি।

পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১০ কাঠা ফসলী জমি আর ১০ কাঠা বাড়ির ভিটা পেয়েছি। এ ব্যবসা দিয়ে ৪ সন্তানের পরিবার নিয়ে ভালভাবে খেয়ে-পরে চলে যাচ্ছে। বেঁচে থাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানোর আর ইচ্ছা নেই।

এ ব্যবসা করে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ইংরেজি অনার্স মাষ্টার্স শেষ করে একটি বেসরকারি কম্পানিতে চাকরি করছেন। ছোট ছেলে অনার্স পড়ছেন। ২৩ বছর ধরে এ ব্যবসা করছে। বিকাল হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে।

ইফতারের পর বেশি ভিড় হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ কাপ চা ও পান বিক্রি হয়। আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর গোচর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নওশাদ আলী জানান, আলমাজের দোকানের চা অন্য দোকানের চেয়ে স্বাদে-গুণে কোনো অংশেই কম নয়। তার ২ টাকার চায়ের খবর অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে তার দোকানে চা ও পান খেতে আসেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে

বাঘায় চা ২ টাকা ও পান ৩ টাকায় বিক্রি করে চলে আলমাজের সংসার

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

রাজশাহীর বাঘায় চা ২ টাকা ও পান ৩ টাকায় বিক্রি করে চলে আলমাজ আলী প্রামানিকের ৪ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত তিনি আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর গোচর ওয়ার্ডের মোড়ে চা ও পানের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। আলমাজ আলী প্রামানিক গোচর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।

আড়ানী রুস্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকাররি শিক্ষক ও গোচর গ্রামের বাসিন্দা মজবুল হোসেন লাল্টু বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে অবিশ্বাস্য
হলেও সত্যি আলমাজ এখনো এক কাপ চা ২ টাকা এবং এক খিলি পান ৩ টাকায় বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে আলমাজ আলী জানান, ২০০০ সালে চা ও পান বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছি। ওই সময় ৫০ পয়সায় এক কাপ চা ও একই দামে পানের খিলি বিক্রি করতাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির হলে ১৯৯৫ সালে তা বাড়িয়ে চা ও পান ২ টাকায় বিক্রি করি। এভাবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলে। পরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
আরো বাড়ার কারনে ২০১৬ সাল থেকে চা ২ টাকা ও পানের খিলি ৩ টাকায় বিক্রি শুরু করেছি।

পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১০ কাঠা ফসলী জমি আর ১০ কাঠা বাড়ির ভিটা পেয়েছি। এ ব্যবসা দিয়ে ৪ সন্তানের পরিবার নিয়ে ভালভাবে খেয়ে-পরে চলে যাচ্ছে। বেঁচে থাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানোর আর ইচ্ছা নেই।

এ ব্যবসা করে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ইংরেজি অনার্স মাষ্টার্স শেষ করে একটি বেসরকারি কম্পানিতে চাকরি করছেন। ছোট ছেলে অনার্স পড়ছেন। ২৩ বছর ধরে এ ব্যবসা করছে। বিকাল হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে।

ইফতারের পর বেশি ভিড় হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ কাপ চা ও পান বিক্রি হয়। আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর গোচর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নওশাদ আলী জানান, আলমাজের দোকানের চা অন্য দোকানের চেয়ে স্বাদে-গুণে কোনো অংশেই কম নয়। তার ২ টাকার চায়ের খবর অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে তার দোকানে চা ও পান খেতে আসেন।