রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পশ্চিম ঝিকরা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানাকে মারপিট, ছিনতাই এবং হত্যার হুমকির ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাদুলের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষাক চারঘাট থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
প্রধান শিক্ষাক মাসুদ রানা মামলায় উল্লেখ করেছেন, চারঘাট উপজেলার পশ্চিম ঝিকরা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাদুল বেশ কিছু দিন থেকে প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানাকে ওই বিদ্যালয়ের চারটি চতুর্থ শ্রেণির শূণ্য পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে বলে আসছিলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের এমপিও কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেন নি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ এপ্রিল রাত ৮টায় সভাপতি সাদুল প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানাকে মোবাইলে তার ভাইয়ের কথিত চেম্বার পল্লি বিদ্যুৎ মোড়ে আসতে বলেন। সভাপতির কথা মত প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা সেখানে উপস্থিত হলে তিনি কেনো বিদ্যালয়ের চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেননি বিষয়টি জানতে চান। এ সময় প্রধান শিক্ষক সভাপতিকে জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমপিও’র কাগজপত্র ঠিক করতে গিয়ে সেটি করা হয়নি। এসময় সভাপতি সাদুল কোনো কিছু না বলেই প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানার উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করেন। সভাপতি প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে তার গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। মারপিট ও ছিনতাই কওে সভাপতি সাদুলের ভাই জোবায়দুলের কথিত চেম্বারে প্রধান শিক্ষককে আটকে রাখা হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে সভাপতির রোষানল থেকে প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে। এঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার চারঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে চারঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাদুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় একজনকেই আসামী করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসামীকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গোলাম মোস্তফা সাদুল এর আগেও বেশ কয়েকজন লোকজনদের মারপিট করেছে। তার কথিত চেম্বারে নিয়ে লোকজনদের হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সভাপতি প্রতিনিয়ত নেশাপান অবস্থায় থাকে। কথিত চেম্বার করে সভাপতি ও তার ভাই জোবাদুল ইসলাম এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।