ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সাবিনাদের নীরব বিদ্রোহ!

অলিম্পিক বাছাই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাবিনা খাতুনরা। প্রস্তুতির মাঝপথে হঠাৎ অনুশীলন বন্ধ রেখেছিলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা। তাদের এই অনুশীলন বন্ধ রাখার কারণ সাফ জয়ের পর প্রতিশ্রুত অর্থ না পাওয়া। ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্রে এই বিষয়টি জানা গেছে। 

গত সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সাবিনারা। কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশে আসার দিনই সবার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ৫০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে। ক্রিকেট বোর্ডের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকও চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

সাফ জেতার মাস খানেকের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংবর্ধনার অর্থ পেয়েছেন সাবিনারা। ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও বিসিবি ও বাফুফের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার ঘোষণাকৃত অর্থ তারা এখনও পাননি। এটি ফুটবলারদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। এই অর্থ না পাওয়ায় সাফ অ-১৭ টুর্নামেন্ট চলাকালে সিনিয়র জাতীয় ফুটবল দল দু’দিন অনুশীলন করেননি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। পরবর্তীতে তৃতীয় দিন বল নিয়ে অনুশীলনের পরিবর্তে শুধু জিম করেন তারা।

জানা গেছে, নারী ফুটবলারদের জন্য ফুটবল ফেডারেশন সবসময়ই সজাগ। সাবিনাদের জন্য ঘোষণাকৃত বোনাসগুলো ব্যক্তিগত এবং ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হলেও ফেডারেশন সেগুলো সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। এরপরও অলিম্পিক বাছাইয়ের আগে অনুশীলন বর্জনের বিষয়টি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ভালোভাবে নেননি। আর্থিক বিষয়কে ঘিরে অলিম্পিক বাছাইয়ে অংশগ্রহণ নিয়ে ফেডারেশন খানিকটা দোটানায় ছিল। সেই পরিস্থিতিতে অনুশীলন বর্জনের ঘটনা টুর্নামেন্টে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তকে আরো ত্বরান্বিত করেছে। অভিমান কাটিয়ে সাবিনারা আবার অনুশীলনে ফিরলেও ততদিনে বাফুফের নীতি-নির্ধারকরা দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে এটি প্রকাশ করেছে আরও কয়েকদিন পর।

এর আগে সাবিনারা ঈদ ও বিশেষ দিনগুলোতেও অনুশীলন করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের এই অনুশীলন বর্জন নিয়ে ফুটবলার, কোচিং স্টাফ ও ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী তার ঘোষণাকৃত অর্থ দ্রুততম সময়ে মেয়েদের হস্তান্তরের কথা জানান।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন একাধিকবার নিশ্চিত করেছেন বিসিবির চেক প্রস্তুত, বাফুফে সময় দিলেই সম্পন্ন হবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া।বাফুফের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার অর্থও ফেডারেশনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করার পরিকল্পনা ছিল। তারা প্রস্তুত থাকলেও সেই অর্থ ফেডারেশনের ফান্ডে নাকি মেয়েদের সরাসরি প্রদান করা হবে, এই সিদ্ধান্ত নিতেই অনেকটা সময়ক্ষেপণ হয়েছে বলে জানা যায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

সাবিনাদের নীরব বিদ্রোহ!

আপডেট সময় ১২:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

অলিম্পিক বাছাই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাবিনা খাতুনরা। প্রস্তুতির মাঝপথে হঠাৎ অনুশীলন বন্ধ রেখেছিলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা। তাদের এই অনুশীলন বন্ধ রাখার কারণ সাফ জয়ের পর প্রতিশ্রুত অর্থ না পাওয়া। ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্রে এই বিষয়টি জানা গেছে। 

গত সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সাবিনারা। কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশে আসার দিনই সবার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ৫০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে। ক্রিকেট বোর্ডের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকও চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

সাফ জেতার মাস খানেকের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংবর্ধনার অর্থ পেয়েছেন সাবিনারা। ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও বিসিবি ও বাফুফের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার ঘোষণাকৃত অর্থ তারা এখনও পাননি। এটি ফুটবলারদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। এই অর্থ না পাওয়ায় সাফ অ-১৭ টুর্নামেন্ট চলাকালে সিনিয়র জাতীয় ফুটবল দল দু’দিন অনুশীলন করেননি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। পরবর্তীতে তৃতীয় দিন বল নিয়ে অনুশীলনের পরিবর্তে শুধু জিম করেন তারা।

জানা গেছে, নারী ফুটবলারদের জন্য ফুটবল ফেডারেশন সবসময়ই সজাগ। সাবিনাদের জন্য ঘোষণাকৃত বোনাসগুলো ব্যক্তিগত এবং ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হলেও ফেডারেশন সেগুলো সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। এরপরও অলিম্পিক বাছাইয়ের আগে অনুশীলন বর্জনের বিষয়টি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ভালোভাবে নেননি। আর্থিক বিষয়কে ঘিরে অলিম্পিক বাছাইয়ে অংশগ্রহণ নিয়ে ফেডারেশন খানিকটা দোটানায় ছিল। সেই পরিস্থিতিতে অনুশীলন বর্জনের ঘটনা টুর্নামেন্টে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তকে আরো ত্বরান্বিত করেছে। অভিমান কাটিয়ে সাবিনারা আবার অনুশীলনে ফিরলেও ততদিনে বাফুফের নীতি-নির্ধারকরা দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে এটি প্রকাশ করেছে আরও কয়েকদিন পর।

এর আগে সাবিনারা ঈদ ও বিশেষ দিনগুলোতেও অনুশীলন করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের এই অনুশীলন বর্জন নিয়ে ফুটবলার, কোচিং স্টাফ ও ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী তার ঘোষণাকৃত অর্থ দ্রুততম সময়ে মেয়েদের হস্তান্তরের কথা জানান।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন একাধিকবার নিশ্চিত করেছেন বিসিবির চেক প্রস্তুত, বাফুফে সময় দিলেই সম্পন্ন হবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া।বাফুফের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার অর্থও ফেডারেশনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করার পরিকল্পনা ছিল। তারা প্রস্তুত থাকলেও সেই অর্থ ফেডারেশনের ফান্ডে নাকি মেয়েদের সরাসরি প্রদান করা হবে, এই সিদ্ধান্ত নিতেই অনেকটা সময়ক্ষেপণ হয়েছে বলে জানা যায়।