ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মিলন লস্কর এর বাসায় জানালার গিরিল কেটে ৬ জন ডাকাত বাসায় ঢুকে প্রথমে মিলন লস্কর এর রুমে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকে মারধর করে। তার বুকের ওপর পা দিয়ে বগি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তার স্ত্রী চিৎকার দিয়ে উঠলে মিলন লস্করকে শাবল দিয়ে পায়ে আঘাত করে। তার স্ত্রী ডাকাতদেরকে বলে আমাদের বাসায় যা কিছু আছে নিয়ে যান তারপরও আমার স্বামীকে মারবেন না। তাদের কাছে আকুতি মিনতি করলে মিলন লস্করকে পিছন থেকে দুই হাত পা বেঁধে রাখে। অন্যরুম থেকে ডাকাত দলের দুইজন গিয়ে মিলন লস্করের দুই মেয়েকে এনে সবাইকে এক রুমে আটকিয়ে রেখে আলমারি ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ ১,৫০,০০০/টাকা লুঠ করে ডাকাত দল। ডাকাতির ঘটনায় পুরো এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজমান।
গতকাল গভীর রাতে কাচিয়া ৩ নং ওয়ার্ডে মিলন লস্কর এর বাড়িতে হানা দেয় সশস্ত্র দুষ্কৃতী। বাড়ির সদস্যদের মারধর করে সোনার গয়না, নগদ টাকা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা পালায় বলে অভিযোগ। এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। যদিও ঘটনায় কাউকে চিনতে পারেনি। তবে তাদের সন্দেহ তাদের সাথে মোঃ জাকির হোসেন(৪০) পিতা ইয়াকুব মোঃ আমীর হোসেন(৪৮)পিতা- তোফাজ্জল মোঃ বিল্লাল(৩৩) পিতা- তোফাজ্জল হোসেন পূর্ব থেকেই জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ চলছে এবং তাদের নামে কয়েকটি মিথ্যাও বানোয়াট মামলা দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টা করেছে তাদের ধারনা এই ডাকাতির সাথে জাকির হোসেন গংদের হাত রয়েছে। এমনটাই মনে করেন মিলন লস্কর।
রাত আনুমানিক পৌনে তিনটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কাচিয়া ৩ নং ওয়ার্ডে। পিছনের জানালার গিরিল কেটে ডাকাতের দল বাড়িতে ঢোকে। বাড়ির গৃহবধূ সহ ৪ জনকে বেধড়ক মারধর করে টাকা পয়সা গয়না ছিনিয়ে নেয়। আলমারিতে থাকা ৪ ভরি সোনার গয়না ও নগদ ১,৫০,০০০/ হাজার টাকা নিয়ে নেয় ডাকাত দল। ঘটনায় আহত হয়েছেন মিলন লস্কর।পরে মিলন লস্কর এর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসে। ঘটনাস্থলে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সকালে বোরহানউদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে।