ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৩০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত: প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে : গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন ভোলা জেলার উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা হবে : আমিনুল হক মহিলালীগ নেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও এনজিওকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি ভোলায় ডিবির অভিযানে বিপুল পরিমান চোরাই মালামালসহ আটক-১ কুমিল্লার কুখ্যাত কিশোর গ্যাং ‘রতন’ গ্রুপের সদস্য গ্রেপ্তার পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, বিপাকে শিক্ষার্থীরা অবৈধ ট্রাক্টরট্রলি বন্ধে কমলনগরে অবস্থান কর্মসূচি পালন। জামালপুর ৩৫ বিজিবির উদ্যোগে বিওপি পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত

ঝিকরগাছার অদম্য মেয়ে তামান্না আক্তার নুরার জীবনের জানা-অজানা গল্প

নারী দিবসের মুল প্রতিপাদ্য হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার নিশ্চিত করা, পুরুষ শাসিত সমাজে নারীকে যথাযথ সম্মান করা। কারও উপর নির্ভরশীল না হয়ে একজন নারী কিভাবে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে,  তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার তামান্না আক্তার নূরা।

সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত নারীরা তামান্নাকে দেখে অনুপেরণা খুজতে পারে। শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তামান্না দমে যাননি  নিজের প্রতি এগিয়ে যাওয়ার বিশ্বাস, আর প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ তার লক্ষ্য পৌঁছাতে পারে তর জলন্ত উদাহরণ তামান্না আক্তার নুরা। জন্ম থেকে দু’টি হাত, একটি পা নেই তামান্না আক্তার নূরার। তবু থেমে থাকেননি এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তিনি একটুও দমে যাননি, এক পা দিয়ে লিখে  পি এস সি,  জে এস সি, এস এস সি পরীক্ষাতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে এই কিশোরী। নিজে স্বাবলম্বী হয়ে সেবা করতে চান দেশ ও সাধারণ জনগণের। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের  রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। জন্ম থেকেই দুটি হাত ও ডান পা নেই। লেখাপড়ার প্রতি  আগ্রহে ছয় বছর বয়সে মায়ের কাছে পায়ের ভেতর কাঠি ও কলম দিয়ে লেখার হাতে খড়ি শুরু হয়। মাত্র দু’মাসের মধ্যে পা দিয়ে লেখা ও ছবি আঁকা রপ্ত করে ফেলেন। বাবা টিউশনি করে সংসার চালালেও তামান্নাকে ভর্তি করে দেন স্কুলে। হুইল চেয়ারে করে প্রতিদিন স্কুলে আনা-নেয়া করতেন নিজেই। এতো প্রতিবন্ধকতার মাঝেও বাবা মার কষ্টের প্রতিদান দিয়েছেন তামান্না। এক পা দিয়ে লিখে পি এস সি, জে এস সি, এস এস সি এবং  এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে। বর্তমানে স্নাতক সম্মানের জন্য ইংরেজী বিভাগে অধ্যায়নরত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)। তামান্নার এমন সাফল্যে, তার পিতা-মাতা ও সহপাঠীরা অনেক খুশি।  তামান্না নূরা বলেন, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতো আমিও স্বাবলম্বী হতে চাই । আমি আমার বাবা-মায়ের মুুখ উজ্জ্বল করতে চাই ও এলাকাবাসীর সম্মান বৃৃদ্ধি করবো ইনশাল্লাহ।  তামান্নার পিতা রওশন আলী বলেন, মেয়েকে বার বার বলি শিক্ষার উদ্দেশ্য চাকরী করা না, শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন করা। শত কষ্টের মধ্যেও মেয়ের সাফল্যে আমি সব দুঃখ কষ্ট ভুলে যাই। আপনারা যদি আমার মেয়েকে নিজের সন্তান মনে করে এগিয়ে আসেন তাহলে তামান্না অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত: প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে :

ঝিকরগাছার অদম্য মেয়ে তামান্না আক্তার নুরার জীবনের জানা-অজানা গল্প

আপডেট সময় ০৩:২৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

নারী দিবসের মুল প্রতিপাদ্য হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার নিশ্চিত করা, পুরুষ শাসিত সমাজে নারীকে যথাযথ সম্মান করা। কারও উপর নির্ভরশীল না হয়ে একজন নারী কিভাবে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে,  তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার তামান্না আক্তার নূরা।

সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত নারীরা তামান্নাকে দেখে অনুপেরণা খুজতে পারে। শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তামান্না দমে যাননি  নিজের প্রতি এগিয়ে যাওয়ার বিশ্বাস, আর প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ তার লক্ষ্য পৌঁছাতে পারে তর জলন্ত উদাহরণ তামান্না আক্তার নুরা। জন্ম থেকে দু’টি হাত, একটি পা নেই তামান্না আক্তার নূরার। তবু থেমে থাকেননি এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তিনি একটুও দমে যাননি, এক পা দিয়ে লিখে  পি এস সি,  জে এস সি, এস এস সি পরীক্ষাতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে এই কিশোরী। নিজে স্বাবলম্বী হয়ে সেবা করতে চান দেশ ও সাধারণ জনগণের। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের  রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। জন্ম থেকেই দুটি হাত ও ডান পা নেই। লেখাপড়ার প্রতি  আগ্রহে ছয় বছর বয়সে মায়ের কাছে পায়ের ভেতর কাঠি ও কলম দিয়ে লেখার হাতে খড়ি শুরু হয়। মাত্র দু’মাসের মধ্যে পা দিয়ে লেখা ও ছবি আঁকা রপ্ত করে ফেলেন। বাবা টিউশনি করে সংসার চালালেও তামান্নাকে ভর্তি করে দেন স্কুলে। হুইল চেয়ারে করে প্রতিদিন স্কুলে আনা-নেয়া করতেন নিজেই। এতো প্রতিবন্ধকতার মাঝেও বাবা মার কষ্টের প্রতিদান দিয়েছেন তামান্না। এক পা দিয়ে লিখে পি এস সি, জে এস সি, এস এস সি এবং  এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে। বর্তমানে স্নাতক সম্মানের জন্য ইংরেজী বিভাগে অধ্যায়নরত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)। তামান্নার এমন সাফল্যে, তার পিতা-মাতা ও সহপাঠীরা অনেক খুশি।  তামান্না নূরা বলেন, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতো আমিও স্বাবলম্বী হতে চাই । আমি আমার বাবা-মায়ের মুুখ উজ্জ্বল করতে চাই ও এলাকাবাসীর সম্মান বৃৃদ্ধি করবো ইনশাল্লাহ।  তামান্নার পিতা রওশন আলী বলেন, মেয়েকে বার বার বলি শিক্ষার উদ্দেশ্য চাকরী করা না, শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন করা। শত কষ্টের মধ্যেও মেয়ের সাফল্যে আমি সব দুঃখ কষ্ট ভুলে যাই। আপনারা যদি আমার মেয়েকে নিজের সন্তান মনে করে এগিয়ে আসেন তাহলে তামান্না অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।