ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

কুমিল্লায় মুরগী ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুমিল্লার বরুড়ায় মুরগী ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামকে হত্যার দায়ে মোঃ ইকবাল নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার এ রায় দেন কুমিল্লা অতিরিক্ত দায়রা জজ ও জজ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন। যাহার দায়রা মামলা নং- ৮৮৪/১৪ইং।

মামলার বিবরণ সুএে জানা যায়- ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টা হতে যেকোন সময় বরুড়া থানাধীন হুরুয়া গ্রামে আইয়ুব আলীর বাড়ীর পাশে বাদী মোঃ জাকারিয়ার পিতা মুরগী ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম মুরগীর ফার্ম হইতে ফেরত না আসায় অনেক খোঁজাখুজি করিয়া না পেয়ে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ২২.৩৫ ঘটিকার সময় বরুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

তৎপর ২১ সেপ্টেম্বর সাড়ে ১১টায় সময় আইয়ুব আলী বাড়ির দক্ষিণ পাশে পুলের উপর গেলে পঁচা দুর্গন্ধ পেয়ে সামনে গিয়ে দেখেন নিচু ভূমির জংলার মধ্যে সফিকুল ইসলামের লাশ উপুড় অবস্থায় পরনে লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরিহিত দেখতে পেয়ে চিৎকার করিলে বাদীর ছোট বোন তাছলিমা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সনাক্ত করে এবং লাশের পাশে জুতার উপরে টাকা, মোবাইল ও সিগারেট এর প্যাকেট দেখতে পায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবদুল হালিম মৃত্যুর সংবাদ থানায় জানাইলে থানা পুলিশ লাশের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে।

এ ব্যাপারে ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ভিকটিম সফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ জাকারিয়া বাদী হয়ে দ: বি: ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে এজাহার দায়ের করিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস, এসআই শেখ মফিজুর রহমান ও এসআই প্রেমধন মজুমদার ঘটনার তদন্তপূর্বক একই উপজেলার হুরুয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে জুয়েল (২২) ও ইকবাল (২৪) এবং মোকসেদ আলীর ছেলে জসীম (২৫) ও আবুল হোসেন এর ছেলে মাসুম (২৪) এর বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার চার্জশীট নং- ১২৮)।

তৎপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চার্জগঠন শেষে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে আসামি ইকবালের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।

এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী এপিপি এডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট গাজী মোঃ আব্দুল আলীম।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা

কুমিল্লায় মুরগী ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৯:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কুমিল্লার বরুড়ায় মুরগী ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামকে হত্যার দায়ে মোঃ ইকবাল নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার এ রায় দেন কুমিল্লা অতিরিক্ত দায়রা জজ ও জজ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন। যাহার দায়রা মামলা নং- ৮৮৪/১৪ইং।

মামলার বিবরণ সুএে জানা যায়- ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টা হতে যেকোন সময় বরুড়া থানাধীন হুরুয়া গ্রামে আইয়ুব আলীর বাড়ীর পাশে বাদী মোঃ জাকারিয়ার পিতা মুরগী ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম মুরগীর ফার্ম হইতে ফেরত না আসায় অনেক খোঁজাখুজি করিয়া না পেয়ে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ২২.৩৫ ঘটিকার সময় বরুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

তৎপর ২১ সেপ্টেম্বর সাড়ে ১১টায় সময় আইয়ুব আলী বাড়ির দক্ষিণ পাশে পুলের উপর গেলে পঁচা দুর্গন্ধ পেয়ে সামনে গিয়ে দেখেন নিচু ভূমির জংলার মধ্যে সফিকুল ইসলামের লাশ উপুড় অবস্থায় পরনে লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরিহিত দেখতে পেয়ে চিৎকার করিলে বাদীর ছোট বোন তাছলিমা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সনাক্ত করে এবং লাশের পাশে জুতার উপরে টাকা, মোবাইল ও সিগারেট এর প্যাকেট দেখতে পায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবদুল হালিম মৃত্যুর সংবাদ থানায় জানাইলে থানা পুলিশ লাশের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে।

এ ব্যাপারে ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ভিকটিম সফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ জাকারিয়া বাদী হয়ে দ: বি: ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে এজাহার দায়ের করিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস, এসআই শেখ মফিজুর রহমান ও এসআই প্রেমধন মজুমদার ঘটনার তদন্তপূর্বক একই উপজেলার হুরুয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে জুয়েল (২২) ও ইকবাল (২৪) এবং মোকসেদ আলীর ছেলে জসীম (২৫) ও আবুল হোসেন এর ছেলে মাসুম (২৪) এর বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার চার্জশীট নং- ১২৮)।

তৎপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চার্জগঠন শেষে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে আসামি ইকবালের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।

এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী এপিপি এডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট গাজী মোঃ আব্দুল আলীম।