কুমিল্লার বরুড়ায় মুরগী ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামকে হত্যার দায়ে মোঃ ইকবাল নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার এ রায় দেন কুমিল্লা অতিরিক্ত দায়রা জজ ও জজ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন। যাহার দায়রা মামলা নং- ৮৮৪/১৪ইং।
মামলার বিবরণ সুএে জানা যায়- ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টা হতে যেকোন সময় বরুড়া থানাধীন হুরুয়া গ্রামে আইয়ুব আলীর বাড়ীর পাশে বাদী মোঃ জাকারিয়ার পিতা মুরগী ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম মুরগীর ফার্ম হইতে ফেরত না আসায় অনেক খোঁজাখুজি করিয়া না পেয়ে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ২২.৩৫ ঘটিকার সময় বরুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
তৎপর ২১ সেপ্টেম্বর সাড়ে ১১টায় সময় আইয়ুব আলী বাড়ির দক্ষিণ পাশে পুলের উপর গেলে পঁচা দুর্গন্ধ পেয়ে সামনে গিয়ে দেখেন নিচু ভূমির জংলার মধ্যে সফিকুল ইসলামের লাশ উপুড় অবস্থায় পরনে লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরিহিত দেখতে পেয়ে চিৎকার করিলে বাদীর ছোট বোন তাছলিমা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সনাক্ত করে এবং লাশের পাশে জুতার উপরে টাকা, মোবাইল ও সিগারেট এর প্যাকেট দেখতে পায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবদুল হালিম মৃত্যুর সংবাদ থানায় জানাইলে থানা পুলিশ লাশের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে।
এ ব্যাপারে ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ভিকটিম সফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ জাকারিয়া বাদী হয়ে দ: বি: ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে এজাহার দায়ের করিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস, এসআই শেখ মফিজুর রহমান ও এসআই প্রেমধন মজুমদার ঘটনার তদন্তপূর্বক একই উপজেলার হুরুয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে জুয়েল (২২) ও ইকবাল (২৪) এবং মোকসেদ আলীর ছেলে জসীম (২৫) ও আবুল হোসেন এর ছেলে মাসুম (২৪) এর বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার চার্জশীট নং- ১২৮)।
তৎপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চার্জগঠন শেষে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে আসামি ইকবালের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী এপিপি এডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট গাজী মোঃ আব্দুল আলীম।