ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঘর দেওয়ার কথা বলে ভূমিহীন নারীকে কুপ্রস্তাব, মেইকার সুজনকে জুতাপেটা

এক ভূমিহীন নারীকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় মোবাইল মেইকার সুজন মিয়া ওরফে সুজন উল্লাকে জুতাপেটা করেছেন ওই নারী। সুজন উপজেলার পাড়াগাও মহল্লার মাহমুদ উল্লা ওরফে ঘটিয়া মাহমুদের ছেলে। তার বর্তমান বসবাস খন্দকার মহল্লায়।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় স্থানীয় ভট্রপাড়া (শরীফখানীতে)। জানা যায়, ভট্রপাড়ায় এক নারী তার সন্তান সন্ততি নিয়ে ১২ বছর যাবৎ একই এলাকার তারেক মিয়ার নিকট থেকে খাস খতিয়ানের ৬ শতক ভূমি দখল ক্রয় করে সেখানে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মান করে একযুগ যাবৎ বসবাস করছেন।

তৎকালীন ইউএনও মাসুদ রানা তার চার শতকে ২ জনকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেন এবং বাকী ২ শতকে তাকে দলিল করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েও ওই নারীর দেবরকে দলিল করে দেন। এরপর নারী ডিসি বরাবর অভিযোগ দিলে এসিল্যান্ড তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেন। বর্তমানে ভূমিহীন নারীকে জায়গাটি দলিল করে দেওয়ার পক্রিয়াধীন।

এ খবর জানতে পেরে বহু বিবাহকারী মোবাইল মেইকার সুজন নারীর বসত ঘরে গিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কুপ্রস্তাব দেয়, তখন তিনি সুজনকে জুতাপেটা শুরু করলে অবস্থার বেগতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় নারীলোভী সুজন।

উল্লেখ্য মোবাইল মেইকার সুজন শিশু থাকা অবস্থায় তার মাকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করেন পিতা মাহমুদ। এরপর থেকে তার মা পিত্রলায়ে থেকে অনেক কষ্ট করে সুজনকে কিছুটা বড় করেন এবং ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত লেখাপাড়া করান। পরে বানিয়াচং স্মৃতিসৌধের সামনে মোবাইল মেইকবারি শুরু করে সে।

একপর্যায়ে সে বিয়ে করে এবং তার দুটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু এই অবুঝ সন্তানদের দিকে না তাকিয়ে নারীলোভী ও বহু বিবাহকারী সুজন আরেকটি বিয়ে করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়। পরে শশুর বাদী হয়ে মেইকার সুজনের বিরুদ্ধে ৩ টি মামলা করেন।

এছাড়াও মামার বাড়িতে শিশুকাল থেকে বড় হলেও অকৃতজ্ঞ সুজন আপন মামাদের ওপরও হামলা করে রক্তাক্ত করে। বর্তমানে বড়াবজার দারুল কোরআন মাদ্রসা রোডে মোবাইল মেইকারির সাথে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। এবং মেইকারির আড়ালে অসহায় নারীদের ফুসলিয়ে নিজের ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বনাশ করে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

ঘর দেওয়ার কথা বলে ভূমিহীন নারীকে কুপ্রস্তাব, মেইকার সুজনকে জুতাপেটা

আপডেট সময় ০৫:১৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

এক ভূমিহীন নারীকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় মোবাইল মেইকার সুজন মিয়া ওরফে সুজন উল্লাকে জুতাপেটা করেছেন ওই নারী। সুজন উপজেলার পাড়াগাও মহল্লার মাহমুদ উল্লা ওরফে ঘটিয়া মাহমুদের ছেলে। তার বর্তমান বসবাস খন্দকার মহল্লায়।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় স্থানীয় ভট্রপাড়া (শরীফখানীতে)। জানা যায়, ভট্রপাড়ায় এক নারী তার সন্তান সন্ততি নিয়ে ১২ বছর যাবৎ একই এলাকার তারেক মিয়ার নিকট থেকে খাস খতিয়ানের ৬ শতক ভূমি দখল ক্রয় করে সেখানে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মান করে একযুগ যাবৎ বসবাস করছেন।

তৎকালীন ইউএনও মাসুদ রানা তার চার শতকে ২ জনকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেন এবং বাকী ২ শতকে তাকে দলিল করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েও ওই নারীর দেবরকে দলিল করে দেন। এরপর নারী ডিসি বরাবর অভিযোগ দিলে এসিল্যান্ড তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেন। বর্তমানে ভূমিহীন নারীকে জায়গাটি দলিল করে দেওয়ার পক্রিয়াধীন।

এ খবর জানতে পেরে বহু বিবাহকারী মোবাইল মেইকার সুজন নারীর বসত ঘরে গিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কুপ্রস্তাব দেয়, তখন তিনি সুজনকে জুতাপেটা শুরু করলে অবস্থার বেগতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় নারীলোভী সুজন।

উল্লেখ্য মোবাইল মেইকার সুজন শিশু থাকা অবস্থায় তার মাকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করেন পিতা মাহমুদ। এরপর থেকে তার মা পিত্রলায়ে থেকে অনেক কষ্ট করে সুজনকে কিছুটা বড় করেন এবং ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত লেখাপাড়া করান। পরে বানিয়াচং স্মৃতিসৌধের সামনে মোবাইল মেইকবারি শুরু করে সে।

একপর্যায়ে সে বিয়ে করে এবং তার দুটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু এই অবুঝ সন্তানদের দিকে না তাকিয়ে নারীলোভী ও বহু বিবাহকারী সুজন আরেকটি বিয়ে করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়। পরে শশুর বাদী হয়ে মেইকার সুজনের বিরুদ্ধে ৩ টি মামলা করেন।

এছাড়াও মামার বাড়িতে শিশুকাল থেকে বড় হলেও অকৃতজ্ঞ সুজন আপন মামাদের ওপরও হামলা করে রক্তাক্ত করে। বর্তমানে বড়াবজার দারুল কোরআন মাদ্রসা রোডে মোবাইল মেইকারির সাথে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। এবং মেইকারির আড়ালে অসহায় নারীদের ফুসলিয়ে নিজের ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বনাশ করে।