কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন নাজিরারটেক এলাকা থেকে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে কুখ্যাত জলদস্যু সরদার মনসুরসহ মোট ০৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সূত্রে অবগত হয়, কক্সবাজার সদর থানাধীন কক্সবাজার পৌরসভাস্থ ০১ নং ওয়ার্ড নাজিরারটেক মোস্তাক পাড়া বাজারের মের্সাস কাদের ট্রেডার্স এর উত্তর পশ্চিম পাশে মাছঘাটের চরের মধ্যে একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র -শস্ত্রসহ ডাকাতি সংগঠনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ পূর্বক সমবেত হয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার জন্য অবস্থান করেছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল ২২/০২/২০২৩ তারিখ রাত ০১.১৫ ঘটিকার সময় বর্ণিত স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ০৫ জন ব্যক্তি দিক-বিদিক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ১। মনছুর আলম (৩০), পিতা- মাহমুদুল করিম, মাতা- জাইনা বেগম, সাং- পেকুয়া বাইম্বাখালি, ০৪ নং ওয়ার্ড, ইউপি ও থানা- পেকুয়া, জেলা- কক্সবাজার, ২। মোঃ আবু বক্কর (৩০), পিতা- মৃত মোঃ জালাল, মাতা- কুলসুমা বেগম, সাং- গহিরা, ০৪ নং ওয়ার্ড, ইউপি- রায়পুর, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, ৩। জমির উদ্দিন (২১), পিতা-জয়নাল আবেদীন, মাতা- মৃত রাশেদা বেগম, সাং- পেকুয়া বাইম্বাখালি, ০২ নং ওয়ার্ড, ইউপি ও থানা- পেকুয়া, জেলা- কক্সবাজার, ৪। মোঃ শহিদুল হক (২৪), পিতা- আব্দুল কাদের, মাতা- লুৎফরন্নেছা, সাং- পশ্চিম বরঘোনা, নয়াপাড়া, ০৪ নং ওয়ার্ড, ৫। শাহাদাত হোসেন (২৬), পিতা- সয়দুল আলম, মাতা- মৃত এন্তাজ বেগম, সাং- পশ্চিম বরঘোনা, ০৪ নং ওয়ার্ড, উভয় ইউপি- ০৯ নং গন্ডামারা, থানা- বাঁশখালি, জেলা- চট্টগ্রামদের আটক করে।
বর্ণিত ঘটনায় উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশি করে তাদের নিকট হতে ০১টি দেশীয় তৈরী থ্রি কোয়াটার এলজি বন্দুক, ০১টি দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুক, ১২ বোর শর্টগানের ০৪টি কার্তুজ ও ০৩টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তিরা উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং একত্রে সমবেত হয়ে পরস্পর জ্ঞাতসারে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ ডাকাতি করার উদ্দেশে বর্ণিত স্থানে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বলে স্বীকার করে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে যে কয়টি জলদস্যু বাহিনী রয়েছে তাদের মধ্যে মনসুর বাহিনী অন্যতম । মনসুর মূলত বাঁশখালী, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুুয়া অঞ্চল থেকে বিভিন্ন লোক ভাড়া করে এনে সমুদ্রে ফিশিং বোটে ডাকাতি করে থাকে ।
এছাড়াও তারা কক্সবাজার শহরে নাজিরারটেক, কুতুবদিয়ার সোনাদিয়া এবং বাঁশখালীর পূর্ব বড়গুনা এলাকা দিয়ে সমুদ্রে প্রবেশ করে বিভিন্ন সময়ে ডাকাতি কার্য পরিচালনা করে থাকে।
বিষয়টি বিশ্বস্ত গোয়েন্দাসূত্রে অবগত হয়ে র্যাব-১৫ এর সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল বর্ণিত ডাকাতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উপরোল্লিখিত দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে ।