ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামিন হলো না ছাত্র অধিকারের ২৪ জনের, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেন ও সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ ২৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ আরিফুল হক তপু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া আগামী ১১ অক্টোবর তাদের জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।

বুয়েটের শিক্ষার্থী নিহত আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত একটি সভায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হামলায় বেশ ক’জন আহত হন। ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা গতকাল জানিয়েছিলেন, আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে তাদের আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

এদিকে আটক এই নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সিএমএম কোর্টের সামনে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি পালন করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ২০ মিনিট পরে অবশ্য কর্মসূচি শেষ করেন নুরুল হক নুর।  অবস্থান কর্মসূচি শেষ করার আগে নুরুল হক নুরু বলেন, আমরা এখানে অবস্থান নিয়ে বলেছিলাম যে, অন্যায়ভাবে আমাদের সহযোদ্ধাদের যদি কারাগারে পাঠানো হয়, তাহলে আমাদেরও কারাগারে পাঠানো হোক। আমরা স্বেচ্ছায় কারাগারে যেতে রাজি।

আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবীরা আদালতের প্রতি আস্থা রেখেছেন। তারা আমাদের অনুরোধ করেছেন, আমরা যে কোর্ট প্রাঙ্গণে এসেছি তা বিচারকদের সর্বোচ্চ পর্যায় জানে। বিচারকরা তাদের (যারা আটক হয়েছেন) প্রতি অন্যায় করবেন না। ন্যায় বিচার করা হবে। আমরা যেন কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে চলে যাই।  আটক দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়া না হলে আগামীতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামিন হলো না ছাত্র অধিকারের ২৪ জনের, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

আপডেট সময় ০৪:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেন ও সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ ২৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ আরিফুল হক তপু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া আগামী ১১ অক্টোবর তাদের জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।

বুয়েটের শিক্ষার্থী নিহত আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত একটি সভায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হামলায় বেশ ক’জন আহত হন। ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা গতকাল জানিয়েছিলেন, আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে তাদের আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

এদিকে আটক এই নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সিএমএম কোর্টের সামনে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি পালন করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ২০ মিনিট পরে অবশ্য কর্মসূচি শেষ করেন নুরুল হক নুর।  অবস্থান কর্মসূচি শেষ করার আগে নুরুল হক নুরু বলেন, আমরা এখানে অবস্থান নিয়ে বলেছিলাম যে, অন্যায়ভাবে আমাদের সহযোদ্ধাদের যদি কারাগারে পাঠানো হয়, তাহলে আমাদেরও কারাগারে পাঠানো হোক। আমরা স্বেচ্ছায় কারাগারে যেতে রাজি।

আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবীরা আদালতের প্রতি আস্থা রেখেছেন। তারা আমাদের অনুরোধ করেছেন, আমরা যে কোর্ট প্রাঙ্গণে এসেছি তা বিচারকদের সর্বোচ্চ পর্যায় জানে। বিচারকরা তাদের (যারা আটক হয়েছেন) প্রতি অন্যায় করবেন না। ন্যায় বিচার করা হবে। আমরা যেন কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে চলে যাই।  আটক দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়া না হলে আগামীতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।