ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল

বাহুবলের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আকলাছ মিয়া লাশ চায় পরিবার

গত মঙ্গলবার (১৪ফেব্রুয়ারি) সিলেটে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান চুনারুঘাট উপজেলার বালিয়াড়ি গ্রামের আলকাছ মিয়া (৪৫)। ফেরার পথে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮ টায় বাহুবল উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকায় হবিগঞ্জ সিলেট বিরতিহীন এক্সপ্রেস বাস দুর্ঘটনায় মারা যায় সে।

পরিচয় না পেয়ে পরদিন শুক্রবার রাতে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে রাজনগর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর একদিন পর শনিবার সকালে স্বজনরা প্রতিবেশীদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে নিশ্চিত হন দুর্ঘটনায় নিহত পরিচয় না পাওয়া মৃতদেহটি আকলাছ মিয়ার।

এরপর থেকে স্বামীর লাশ ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় গিয়ে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন স্ত্রী জেসমিন আক্তার। বারবার ধর্ণা দিয়েও কোন কুল কিনারা করতে পারছেন না তিনি। জেসমিন আক্তারের দাবি তিনি তার স্বামীর লাশটি শেষবারের জন্য দেখতে চান। যে কোন মূল্যে তিনি তার স্বামীর লাশ ফেরত চান।

সরেজমিনে নিহত আলকাছ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তব্ধ গোটা গ্রামও। স্বামীর এমন মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ আকলাছের স্ত্রী জেসমিন আক্তার। ছোট পাঁচ শিশু সন্তানকে নিয়ে কী করবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না।

এ সময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিনি বলেন, “আমার স্বামী ছাড়া আমার বাচ্চা-কাচ্চার আর কেউ নাই, ই বাচ্চারারে কেটায় দেখবো? সন্ধ্যার সময় রান্দার মতো চাউলও ঘরে নাই, আপনারা আমারে সাহায্য করইন”।

এসময় তিনি তার স্বামীর লাশ ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। নিহত আলকাছ মিয়ার মা আমিনা খাতুন বলেন,” আমি আমার ছেলের লাশ চাই, আমি আমার ছেলেরে দাফন করতাম চাই।”

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, লাশের দাবি নিয়ে স্বজনেরা আমার কাছে আসছিলো। তাদের সাথে কথা হয়েছে।

বিস্তারিত জানার জন্য আগামীকাল (সোমবার) সকালে তাদেরকে আসার জন্য বলেছি। এসময় তিনি পিবিআই’র মাধ্যমে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের চেষ্টা করা হলেও কোন তথ্য আসেনি বলেও জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা।

বাহুবলের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আকলাছ মিয়া লাশ চায় পরিবার

আপডেট সময় ১০:১৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গত মঙ্গলবার (১৪ফেব্রুয়ারি) সিলেটে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান চুনারুঘাট উপজেলার বালিয়াড়ি গ্রামের আলকাছ মিয়া (৪৫)। ফেরার পথে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮ টায় বাহুবল উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকায় হবিগঞ্জ সিলেট বিরতিহীন এক্সপ্রেস বাস দুর্ঘটনায় মারা যায় সে।

পরিচয় না পেয়ে পরদিন শুক্রবার রাতে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে রাজনগর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর একদিন পর শনিবার সকালে স্বজনরা প্রতিবেশীদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে নিশ্চিত হন দুর্ঘটনায় নিহত পরিচয় না পাওয়া মৃতদেহটি আকলাছ মিয়ার।

এরপর থেকে স্বামীর লাশ ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় গিয়ে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন স্ত্রী জেসমিন আক্তার। বারবার ধর্ণা দিয়েও কোন কুল কিনারা করতে পারছেন না তিনি। জেসমিন আক্তারের দাবি তিনি তার স্বামীর লাশটি শেষবারের জন্য দেখতে চান। যে কোন মূল্যে তিনি তার স্বামীর লাশ ফেরত চান।

সরেজমিনে নিহত আলকাছ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তব্ধ গোটা গ্রামও। স্বামীর এমন মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ আকলাছের স্ত্রী জেসমিন আক্তার। ছোট পাঁচ শিশু সন্তানকে নিয়ে কী করবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না।

এ সময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিনি বলেন, “আমার স্বামী ছাড়া আমার বাচ্চা-কাচ্চার আর কেউ নাই, ই বাচ্চারারে কেটায় দেখবো? সন্ধ্যার সময় রান্দার মতো চাউলও ঘরে নাই, আপনারা আমারে সাহায্য করইন”।

এসময় তিনি তার স্বামীর লাশ ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। নিহত আলকাছ মিয়ার মা আমিনা খাতুন বলেন,” আমি আমার ছেলের লাশ চাই, আমি আমার ছেলেরে দাফন করতাম চাই।”

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, লাশের দাবি নিয়ে স্বজনেরা আমার কাছে আসছিলো। তাদের সাথে কথা হয়েছে।

বিস্তারিত জানার জন্য আগামীকাল (সোমবার) সকালে তাদেরকে আসার জন্য বলেছি। এসময় তিনি পিবিআই’র মাধ্যমে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের চেষ্টা করা হলেও কোন তথ্য আসেনি বলেও জানান।